ইমরান খান(Photo Credit: IANS)

ইসলামাবাদ, ৫ আগস্ট:  সংসদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর ঘোষণার পরে পরেই কাশ্মীরে লাগু থাকা সংবিধানের ৩৭০ ধারাটি বাতিল করে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এরপরই উপত্যকার প্রাপ্য বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া প্রসঙ্গে নয়া দিল্লির নিন্দায় সরব হয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন, এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে সমগ্র পাকিস্তান জুড়ে। এমনকী ভারতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিরোধিতা করার অভিযোগ উঠেছে। তবে ৩৭০ ধারাটি যাতে কোনওমতেই কাশ্মীরের মাথা থেকে না সরে তানিয়ে লাগাতার চেষ্টার আশ্বাস দিয়েছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। তিনি বলেছেন, ভারতের রাষ্ট্রপতির ওই নির্দেশ যাতে কার্যকর না হয়, সেজন্য কূটনৈতিক পথে চেষ্টা করা হবে। আরও পড়ুন-#Kashmir এবার কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুললেন জায়রা ওয়াসিম

এই প্রসঙ্গে কুরেশি বলেন, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের দায়বদ্ধতা আছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ যাতে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার পান, সেজন্য আমরা তাঁদের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দিয়ে যেতে দায়বদ্ধ। এছাড়াও তিনি একটি বিবৃতিতে জানা, আজ কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকার যা ঘোষণা করেছে, আমরা তার নিন্দা করছি। সারা বিশ্বে কাশ্মীরকে বিতর্কিত অঞ্চল বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকার কোনও একতরফা পদক্ষেপ তার বিতর্কিত চরিত্র বদলে ফেলতে পারে না। পাকিস্তান এই বেআইনি কাজ ঠেকাতে সব রকম চেষ্টা করবে।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন ধরেই কাশ্মীরের খোলনলচে বদলের আভাস পাচ্ছিল সকলে। শুধু বুঝে উঠতে পারছিল না কী ঘটতে চলেছে। প্রথমে উপত্যকায় সেনার সংখ্যা বেড়ে গেল। অসন্তোষ ঠেকাতে যেমন দলে দলে সেনা মোতায়েন হয়ে থাকে তেমনটাই ঘটছিল। তারপর অমরনাথ যাত্রীদের তীর্থ ভ্রমণ স্থগিত রেখে ফিরে আসার দাওয়াই দেওয়া হল। ততক্ষণ পর্যন্ত অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো জঙ্গিহানার আভাস পেয়েআগাম সতর্কতার বন্দোবস্ত হচ্ছে। সেই সময়ই বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তাঁর চিন্তা যে বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে তখন কেই বা তা আঁচ করেছিল। এরপরই ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করে ফেলা হয়। বাকিটা তো সকলেরই জানা। তবে কাশ্মীর নিয়ে এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি গোটা দেশ, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উত্তাল সংসদ।