প্রতি বছর ২৬ আগস্ট সারা বিশ্বে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক কুকুর দিবস। আমাদের সবচেয়ে অনুগত সঙ্গী, কুকুরকে উৎসর্গ করা হয় এই দিনটি। কুকুর মানুষের প্রাচীনতম এবং নিকটতম সঙ্গী বা বন্ধু। কুকুর মানুষকে শিকার করতে সাহায্য করে, সুরক্ষা দেয় এবং মানসিক চাহিদা পূরণ করে। আন্তর্জাতিক কুকুর দিবস পালন করার জন্য কুকুরের সঙ্গে বিশেষ সময় কাটানো যেতে পারে এই দিনে। তাদের সঙ্গে হাঁটতে যাওয়া, খেলা করা যেতে পারে এই দিনে। বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের কুকুরের গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝিয়ে কুকুর দত্তক নিতে বা কুকুরের আশ্রয়ে দান করতে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করা যেতে পারে এই দিনে।

২০০৪ সালে একজন প্রাণী কল্যাণ কর্মী কলিন পেজ দ্বারা পালন করা শুরু হয় আন্তর্জাতিক কুকুর দিবস। কুকুরের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে এই দিনটি পালন করা শুরু করেছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে পালন করা শুরু হয় আন্তর্জাতিক কুকুর দিবস এবং বর্তমানে আন্তর্জাতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে এই দিনটি। ২০১৩ সালে বিশ্বজুড়ে পালন করা শুরু হয় আন্তর্জাতিক কুকুর দিবস। আন্তর্জাতিক কুকুর দিবসের উদ্দেশ্য হল কুকুর সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কুকুরের ভালোর জন্য কাজ করা এবং কুকুরের অবদানকে স্মরণ করা।

কুকুর মানুষের প্রকৃত সঙ্গী। মানুষের সুখে বা দুঃখে সবসময় পাশে থাকে কুকুর। মানসিক সমর্থন প্রদান করে একাকীত্ব কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে কুকুর। মানুষের বা বাড়ির নিরাপত্তা প্রদান এবং চোর থেকে বাড়িকে রক্ষা করে কুকুর। কুকুরের সঙ্গে খেলা করলে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। কুকুরের সঙ্গে হাঁটাহাঁটি করলে কমে যায় হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি। কুকুর প্রতিপালন একটি বড় দায়িত্ব। কুকুর প্রতিপালন করলে তাদের নিয়মিত টিকা দিতে হবে, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াতে হবে এবং নিয়মিত পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এছাড়া কুকুরকে প্রশিক্ষিত করতে হবে যাতে অন্যদের জন্য বিপদ হতে না পারে। এককথায় কুকুর প্রতিপালন করলে ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে।