
মহাশিবরাত্রি হিন্দু ধর্মে ভগবান শিবের উপাসনার একটি প্রধান উৎসব, যা পালন করা হয় ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে। এই দিনে উপবাস পালন করে, শিবলিঙ্গের অভিষেক করে এবং রাত্রি জাগরণের মাধ্যমে ভগবান শিবের পুজো করে ভক্তরা। এই দিনে মহিলারা এবং অবিবাহিত মেয়েরাও উপবাস করে। তবে এই দিনে ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে রামেশ্বরম ভ্রমণ শিবরাত্রিকে আরও বিশেষ করে তুলবে। রামানাথস্বামী জ্যোতির্লিঙ্গ, যা রামেশ্বরম মন্দির নামেও পরিচিত, ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরম দ্বীপে অবস্থিত। এটি হিন্দুধর্মের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি এবং এটি চারধাম যাত্রারও একটি অংশ।
আকাশ পথে রামেশ্বরম যাওয়ার জন্য মাদুরাই হল নিকটতম বিমানবন্দর (রামেশ্বরম থেকে ১৭৫ কিমি)। মাদুরাই থেকে ট্যাক্সি বা বাসে (প্রায় ৪ ঘন্টা যাত্রা) রামেশ্বরম পৌঁছানো সম্ভব। রেলপথে রামেশ্বরম রেলওয়ে স্টেশন (RMM) ভারতের প্রধান শহরগুলির সঙ্গে সংযুক্ত। এছাড়া রামেশ্বরম একটি ভালো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্বারা সংযুক্ত। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক রামানাথস্বামী মন্দির দর্শন সম্পর্কে তথ্য। মন্দির পরিদর্শনের সময় হল সকাল ৫টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকাল ৩টে থেকে রাত ৮:৩০ মিনিট পর্যন্ত। মন্দিরে মণি দর্শন শুধুমাত্র সকালে অনুষ্ঠিত হয়, এর সময়কাল হল সকাল ৪:৩০ মিনিট থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত। ২২ তীর্থ স্নান (অগ্নি তীর্থ স্নান) অর্থাৎ মন্দির প্রাঙ্গণের ২২টি পুকুরে স্নানের একটি ঐতিহ্য রয়েছে।
মন্দিরের অভিষেক, রুদ্রাভিষেকের মতো বিশেষ পুজোর জন্য বুকিং করে ভক্তরা। এই সময় পুরুষদের ধুতি বা ঐতিহ্যবাহী পোশাক এবং মহিলাদের শাড়ি, সালোয়ার-কুর্তা অথবা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই স্থানে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান রয়েছে। ধনুষকোডি, ভারতের শেষ প্রান্তে রয়েছে, যেখান থেকে শ্রীলঙ্কা দেখা যায়। অগ্নি তীর্থ, সমুদ্র তীরে অবস্থিত পবিত্র স্নানস্থল। পঞ্চমুখী হনুমান মন্দির, হনুমানজির ৫ মুখী মূর্তি। রাম ঝরোখা মন্দির, ভগবান রামের পদচিহ্ন সহ স্থান। কোঠাণ্ডারমস্বামী মন্দির, সমুদ্রের মাঝখানে অবস্থিত ঐতিহাসিক মন্দির। বিশেষ পুজো করতে চাইলে মন্দির প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি।