
রাজকোট, ২২ ফেব্রুয়ারিঃ গণবিবাহের নামে চলল দেদার লুট। বর-কনের পরিবারের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট ছিল আয়োজক সংস্থা। সদ্য গুজরাটের (Gujarat) রাজকোটে এক সংস্থারে তরফে গণবিবাহ আয়োজন করা হয়। এলাকার ২৮টি যুগল সেই গণবিবাহে চারহাত এক করার সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের জন্যে ওই সংস্থার তরফে প্রতি যুগল পিছু ১৫ হাজার টাকা করে সংগ্রহ করা হয়। শনিবার বিয়ের দিন অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন পাত্র-পাত্রী এবং তাঁদের পরিবার। কিন্তু অনুষ্ঠানের আয়োজকদের কোন দেখা নেই। এরপরেই সন্দেহ হয় সকলের। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, ভুয়ো সংস্থার পাল্লায় পড়েছিলেন তাঁরা। গণবিবাহের অনুষ্ঠানস্থলে বিশৃঙ্খল কাণ্ড বাঁধে।
গুজরাটের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ২৮ জন যুগলের বিয়ের স্বপ্ন ভেঙে যায় এক লহমায়। প্রতারিত হয়েছেন জানতে পেরে বহু পরিবার তাঁদের ছেলে মেয়েকে নিয়ে ফিরে যেতে শুরু করেন। তবে যে সকল যুগল রয়ে গিয়েছিলেন তাঁদের মুখে হাসি ফোটালেন স্থানীয় পুলিশ এবং এক কংগ্রেস নেতা। অশান্তির পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে এনে পুলিশ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বাকি যুগলের চারহাত এক করেন। শুধু তাই নয়, বিয়ের দক্ষিণা হিসাবে কোন টাকা নেননি পুরোহিতেরা। বিনামূল্যে ওই দম্পতিদের বিয়ের যাবতীয় রীতিনীতি, মন্ত্রপাঠ করান পুরোহিতরা।
গণবিবাহের নামে লুটঃ
Rajkot, Gujarat: Organizers of a group marriage for 28 couples absconded after collecting ₹15,000 from each family. Police have launched an investigation. Local youth Krunal Cholera provided household essentials to support the affected couples and called for strict action… pic.twitter.com/iZHIdHfJ9R
— IANS (@ians_india) February 22, 2025
এও জানা গিয়েছে, গণবিবাহে আসা অতিথিদের যাতে খালি মুখেই ফিরে যেতে না হয় তার জন্যে এক কংগ্রেস নেতা অতিথিদের ভোজের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।