লাহোর, ২২ ফেব্রুয়ারি: হাউ ইজ দ্য জোশ স্যার! শনিবার লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে এই কথাটা জোস বাটলারদের কেউ জিজ্ঞাসা করলেন কি? জোস ইংলিসের যশে যেভাবে অবিশ্বাস্য কায়দায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রেকর্ড রান তাড়া করে জিতল অস্ট্রেলিয়া তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না। জোস বাটলারের দলের বিরুদ্ধে ৩৫১ রান তাড়া করতে নেমে জোশ ইংলিশের ১২০ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ১৫ বল বাকি থাকতে জিতে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিযান শুরু করলেন স্টিভ স্মিথরা।
রেকর্ড রান তাড়া করে জয় অস্ট্রেলিয়ার
যে কোনও আইসিসি টুর্নামেন্টে এত রান তাড়া করে জেতার নজির নেই। ওয়ানডে ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ডে করা ৩৫১ রানের ইনিংসটা ছিল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। আর সেটা তাড়া করে জিতে যে কোনও আইসিসি টুর্নামেন্টে রেকর্ড রান তাড় করে জিতলেন স্টিভ স্মিথরা।
অবিশ্বাস্য ইনিংস ইংলিসের
Josh Inglis' thumping 💯 turns it around for Australia as they create history in a run-fest in Lahore 🔥#ChampionsTrophy #AUSvENG ✍️: https://t.co/DBjsJNDgkY pic.twitter.com/lGbeqtTHy2
— ICC (@ICC) February 22, 2025
বৃথা গেল ডাকেটের ১৬৫ রানের ইনিংস
এদিন, বৃথা গেল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা ব্রিটিশ ওপেনার বেন ডাকেট (১৬৫)-এর অবিশ্বাস্য ইনিংস। পাঁচ নম্বরে নেমে ৬টি ওভার বাউন্ডারি আর ৮টি বাউন্ডারি হাঁকানো ৮৬ বলে ১২০ রানের জোশ ইংলিশের অবিশ্বাস্য ইনিংসটাই বাটলার বনাম স্মিথদের মহারণে বড় ফারাক গড়ে দিল। ২৯ বছরের উইকেটকিপার ব্যাটার ইংলিসের এটিই প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ট্রাভিস হেড (৬) থেকে অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ (৫)-র মত তারকারা ব্যর্থ হলেও ইংলিশ চালেই ইংলিশ বধ করলেন অজিরা। অজি ওপেনার ম্যাথু শর্ট (৬৯) ও মার্নাস লাবুশানে (৪৭) ভালই খেলছিলেন। কিন্তু ১৪ রানের মাথায় মাঝে পরপর দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় অজিরা।
কীভাবে জিতল অস্ট্রেলিয়া
২ উইকেটে ১২২ থেকে ৪ উইকেটে ১৩৬ অজিরা হওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন এখান থেকে বাটলাররা জিতে যাবেন। কিন্তু প্রথমে আলেক্স কারির সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১৪৬, তারপর ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে ৭৪ রানের অবিচ্ছদ্য পার্টনারশিপ করে ইংলিস দলকে জিতিয়ে আনেন। কারি ৬৩ বলে ৬৯ ও ম্যাক্সওয়েল ১৫ বলে পরাজিত ৩১ রানের ইনিংস খেলেন। আদিল রশিদ ছাড়া ইংল্যান্ডের আর কোনও বোলার একবারেই ভাল বল করতে পারেননি। ইংল্যান্ডের দুই পেসার জোফ্রা আর্চার ও মার্ক উড- ১০ ওভারে যথাক্রমে ৮২ ও ৭৫ রান দেন। তৃতীয় পেসার ব্র্যায়ডন কারসে ৭ ওভারে দেন ৬৯ রান। ইংল্যান্ডের এই তিন পেসারই দলকে ডোবান।
সেমিফাইনালে ওঠার পথে এক পা
গ্রুপ বি-র প্রথম দুটি ম্যাচে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। পরাস্ত হল আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড। এবার বড় অঘটন না ঘটলে গ্রুপ বি থেকে সেমিফাইনালে ওঠা উচিত বাভুমা ও স্মিথদের।