জায়রা ওয়াসিম(Photo Credit: Twitter)

জম্মু ও কাশ্মীর, ৫ আগস্ট: #Kashmir মোদি শাহর জমানায় রাজ্যের তকমা হারিয়েছে ভূস্বর্গ কাশ্মীর। রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। গোটা ঘটনায় ক্ষোভ পাল্টা ক্ষোভে উত্তাল গোটা দেশ। এমনিতেই ভারত পাকিস্তান সীমান্ত সমস্যা সংক্রান্ত লড়াইয়ের মাঝে পড়ে স্যান্ডউইচ হওয়াটা কাশ্মীরের বাসিন্দাদের কাছে ভবিতব্যের নামান্তর। তাঁর জানেন যতই শান্তি সমঝোতা সীমান্তে যুদ্ধ বিরতির কথা উঠুক না কেন দিনগত পাপক্ষয় যেমন চলছিল তেমনটাই চলবে। কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের নয়া সিদ্ধান্তের পরেই টুইটে বার্তা দিলেন জায়রা ওয়াসিম। আরও পড়ুন-জম্মু-কাশ্মীর আর অঙ্গ রাজ্য নয়, দু ভাগ হয়ে ভূ স্বর্গ হয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, ৬৯ বছর পর ৩৭০ ধারা রদ

জায়রা লিখেছেন, এ-ও একদিন কেটে যাবে’। পাশে ‘হ্যাশ ট্যাগ’ দিয়ে লেখেন ‘কাশ্মীর’। সত্যিই তাই এক টুকরো শান্তির যাপনের জন্য কাশ্মীরীদের যে আর কত পুরুষ ধরে এহেন যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে তা রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রকরাই জানেন কি না বোঝার উপায় নেই। তবে দড়ি কষাকষি চলেই, ভূস্বর্গ এখন পাকিস্তান ও ভারতের কাছে স্টেটাস সিম্বলে পরিণত হয়েছে। কে কতটা কাশ্মীরকে বাগে আনতে পারে তার যেন মহড়া চলছে প্রতিনিয়ত। আর কাশ্মীরবাসী, তারা না হয় ধর্তব্যের বাইরেই থাক। এদিকে শুধু জায়রা নন, কাশ্মীর-বিতর্ক নিয়ে বোমা ফাটিয়েছেন অভিনেতা অনুপম খের-ও। সোমবার টুইট করে তিনি বললেন, ‘কাশ্মীর নিয়ে সমাধানের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।’ এই কথার মাধ্যমে কী ইঙ্গিত দিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত অনুপম, জল্পনাও চলছিল তা নিয়ে। গতকালই কাশ্মীর বিতর্ক নিয়ে টুইট করেছেন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা।

আর রাত পোহাতে না পোহাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নতুন ঘোষণা ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। তিনি এদিন সংসদে বলেছেন উপত্যকা থেকে ৩৭০ নম্বর ধারা তুলে দেওয়া হবে।এই ঘোষণাতেই উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ। তার পরেপরেই টুইটের ঝড় ওঠে। মুখ খোলেন জায়রা ওয়াসিম। চলতি বছরের জুনেই উদীয়মান এই তরুণ অভিনেত্রী সিনেমা জগতকে চিরতরে বিদায় জানান। নিজের ইনস্টাগ্রামে সাড়ে পাঁচ পাতার একটি পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ফিল্মি কেরিয়ার তাঁর বিশ্বাস এবং ধর্মের মাঝখানে এসে দাঁড়িয়েছে এবং সে কারণেই তিনি অভিনয় ছাড়ছেন। সেই পোস্টে জাইরা আরও বলেছিলেন, ‘অসচেতন ভাবে আমি আমার ইমান (বিশ্বাস)-এর থেকে বেরিয়ে এসেছি। কারণ আমি এমন একটা পরিবেশে কাজ করতাম যা ক্রমাগত আমার ইমানের মাঝে এসে দাঁড়াত, ধর্মের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বিপন্ন হয়ে পড়েছিল”। জাইরার এই সিদ্ধান্তে বলি-মহলের কেউ কেউ যেমন তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন আবার কেউ কেউ ‘অকৃতজ্ঞ’ বলতেও ছাড়েননি।