স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। (Photo Credits: IANS)

নয়া দিল্লি, ৫ অগাস্ট:  জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) আর দেশের অঙ্গ রাজ্য থাকছে না। ভূ স্বর্গ এবার থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ( Union Territory) হচ্ছে। দু'টি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ (Ladakh)। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ ঘটানো হচ্ছে। এই ধারার অধীনে ৩৫এ ধারারও বিলুপ্তি ঘটল। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ সরাসরি নয়াদিল্লির হাতে থাকবে। কাশ্মীরের উন্নয়নের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে জানালেন অমিত শাহ।

 কাশ্মীর নিয়ে সংসদে এমনই বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। রাজ্যসভায় সংশোধিত কাশ্মীর সংরক্ষণ বিল পেশ করে অমিত শাহ জানালেন, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে আলাদা দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে রাজ্যের পুনর্গঠনের প্রস্তাব দিলেন। ৩৭০ ধারা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ১৯৪৯ সালের ১৭ অক্টোবর। এই ধারাবলে জম্মুকাশ্মীরকে ভারতীয় সংবিধানের আওতামুক্ত রাখা হয় (অনুচ্ছেদ ১ ব্যতিরেকে) এবং ওই রাজ্যকে নিজস্ব সংবিধানের খসড়া তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়।

তুমুল হট্টগোল, বিরোধীদের প্রতিবাদের মাঝে সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানালেন ৩৭০-এর ধারা বাতিলের প্রস্তাব দেন। আরও পড়ুন- ফলপ্রকাশের আড়াই মাস পর আজ ভোট হচ্ছে এই লোকসভা কেন্দ্রে, কেন জানেন!

এর ফলে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা থাকছে না। বিরোধীদের প্রতিবাদে রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতবি করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর আর লাদাখ দুটিই আলাদাভাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হচ্ছে। তবে জম্ম-ু কাশ্মীরে বিধানসভা, আইনসভা (Legislature) থাকছে। লাদাখে কোনও বিধানসভা থাকছে না।

এদিকে, জম্ম-কাশ্মীরে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ, একই সঙ্গে বন্ধ ডিটিএইচ পরিষেবা ও টেলিফোন পরিষেবা। রাজ্যের দুই  প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি সহ রাজ্যের বেশিরভাগ রাজনৈতিক নেতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। রাজ্যের স্কুল-কলেজ বন্ধ। সব মিলিয়ে জম্মু-কাশ্মীর একেবারে থমথমে। আজ, সোমবার জম্মু-কাশ্মীরে থমথমে পরিস্থিতিতে রাস্তাঘাট শুনশুন। শুধু সেনার ভারী বুটের শব্দ।