
ব্রজের হোলি সারা বিশ্বে বিখ্যাত, যেখানে ৪০ দিন ধরে চলে রঙের এই উৎসব। বসন্ত পঞ্চমী থেকে শুরু হয় এবং মথুরা, বৃন্দাবন, বরসানা ও গোকুলে পালন করা হয় এই উৎসব। রঙের সঙ্গে ফুল, লাড্ডু এবং লাঠমার দিয়েও পালন করা হয় ব্রজের হোলি। ভক্তরা এখানে রাধা রানী এবং বাঁকে বিহারী জির সঙ্গে হোলি খেলেন, যা তাদের জন্য এক ঐশ্বরিক অভিজ্ঞতা। এখানে অনেক ঐতিহ্য পালন করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে লাড্ডুমার, লাঠমার এবং ফুলের হোলি।
১২ ফেব্রুয়ারি, মাঘ পূর্ণিমার দিনে, দ্বারকাধিশ মন্দিরে হোলির খুঁটি রোপণের মাধ্যমে শুরু হয়ে গিয়েছে ব্রজের হোলি। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রির উপলক্ষে বরসানার শ্রী রাধারাণী মন্দিরে পালন করা হবে রঙ্গোৎসব। ৭ মার্চ, নন্দগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হবে একটি ফাগ আমন্ত্রণ উৎসব, যেখানে হোলি খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে বন্ধুদের। একই দিনে, বরসানার শ্রী রাধারাণী মন্দিরে আয়োজন করা হবে লাড্ডুমার হোলি। ৮ মার্চ বরসানায় পালন করা হবে লাঠমার হোলি। ১০ মার্চ রংভরী একাদশীর দিনে, বাঁকে বিহারী মন্দির এবং শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমিতে খেলা হবে রংভরী হোলি।
১১ মার্চ গোকুলের রামনরেতিতে পালন করা হবে হোলি। ১৩ মার্চ পালন করা হবে হোলিকা দহন। ১৪ মার্চ ব্রজ জুড়ে জাঁকজমকের সঙ্গে পালন করা হবে হোলি উৎসব। ১৫ মার্চ পালন করা হবে বলদেবে দৌজির হুরঙ্গা। ২২ মার্চ বৃন্দাবনের রঙ্গনাথজি মন্দিরে পালন করা হবে হোলি। বৈদিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে ১৩ মার্চ, সকাল ১০:৩৫ মিনিটে এবং শেষ হবে ১৪ মার্চ দুপুর ১২:২৩ মিনিটে। ১৩ মার্চ পালন করা হবে হোলিকা দহন এবং তার পরের দিন ১৪ মার্চ মহা জাঁকজমকের সঙ্গে পালন করা হবে হোলি উৎসব।