ট্যাংরার (Tangra) অতুল সূর রোডের ২১/সি নম্বর বাড়ির রহস্যভেদ করতে মরিয়া কলকাতা পুলিশ। একই পরিবারের এক কিশোরী সহ তিন মহিলার মৃত্যু নিছকই আত্মহত্যা নাকি খুন, এই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি তদন্তকারীদের। অন্যদিকে সময় যত গড়াচ্ছে, পরিবারের বাকি তিন পুরুষ সদস্যের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। ফলে ঘটনা কী ঘটেছিল, সেটার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী এক কিশোর সহ দুই ব্যক্তির মধ্যে যদি একজনও সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসে তাহলেই জট খুলবে বলে অনুমান দুঁদে কর্তাদের। এমনকী ঘটনার পূনর্নিমাণও সম্ভব বলে আশাবাদী তাঁরা। এছাড়া ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেও বোঝা যাবে মৃতদের মৃত্যুর আসল কারণ, এমনটাই দাবি কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মার।

বুধবার রাতে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, গড়ফা দুর্ঘটনার পরই আমরা ট্যাংরার বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার করতে পারি। আহতরা এখন হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডে ভর্তি। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনা কীভাবে ঘটল, তাঁরাই একমাত্র জানেন, ফলে তাঁদের মধ্যে কারোর একজনের জীবিত অবস্থা ফিরে আসা জরুরি। তাহলেই ঘটনার পূনর্নিমাণ করা সম্ভব হবে। ট্যাংরার বাড়ি থেকে একই ফ্লোরের তিনটি ঘর থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মহিলাদের দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কিশোরীর নাকে রক্তের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। যদিও আরও কোথাও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কিনা, সেটা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই জানা যাবে।

প্রসঙ্গত, অভিষিক্তা মোড়ে যে দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেখানে প্রণয় দে ও প্রসূন দে ছাড়াও একটি নাবালককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আহত কিশোরের নাম প্রতীপ দে। যদিও সে প্রণয় বা প্রসূনের মধ্যে কার ছেলে সেই বিষয়ে এখনও পুলিশের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, গাড়ি চালানোর আগে তিনজনই ঘুমের ওষুধ অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়েছিল। সেই কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। যদিও গোটা ঘটনার এখনও তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।