Omicron in France (Photo Credit: Twitter)

প্যারিস, ১৮ জানুয়ারি:  ভোট বড় বালাই। ক্ষমতায় ফিরে আসতে হলে জনতা জনার্দনকে খুশি করতে হবে। তার অন্যতম পথ হল, করোনাকে দেশ থেকে দূর করে দেওয়া। সেজন্য আগেভাগে ব্যবস্থা না নিলে সম্ভব নয়। নয়া প্রজাতি অতি সংক্রামক ওমিক্রনের ছোবলে এমনিতেই জর্জরিত ফ্রান্স (France)। গত সপ্তাহ পর্যন্ত সেখানে প্রতি ১ লাখ লোকের মধ্যে করোনার কবলে পড়ছিলেন ২ হাজার ৮০০ জনতা। হাসপাতালেই আইসিইউ বেডগুলি সব কোভিড রোগীদের দখলে। স্বাভাবিক ভাবে অন্য রোগে অসুস্থরা পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা। জনমনে এর জেরে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। সরকার যে মহামারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অক্ষম, তা প্রকট হয়ে পড়ছে। এমন চলতে থাকলে আসন্ন নির্বাচনে ভরাডুবি আটকানো যাবে না। আরও পড়ুন- Coronavirus Cases In India: আড়াই লাখের নিচে দৈনিক সংক্রমণ, বাড়ছে ওমিক্রন

তাই ওমিক্রনের প্রসার রুখতে  রবিবার নয়া আইন পাস হল ফ্রান্সের পার্লামেন্টে। সেই আইনে স্পস্ট ভাবে বলা হয়েছে যাঁরা এখনও কোভিড টিকা নেননি, তাঁরা দেশের কোনও রেস্তরাঁ, স্টেডিয়াম, খেলার জায়গা, ট্যুরিস্ট স্পটে ঢুকতে পারবেন না। মূলত অকি সংক্রামক ওমিক্রনের হাত থেকে হাসপাতাল গুলিকে রক্ষা করার জন্যই এই পথ অবলম্বন করেছে ইম্যানুয়েল ম্যাক্রনের সরকার। সংসদে  রীতিমতো ভোটাভুটিতে এই বিল পাস হয়েছে। জানা গেছে, ৯১ শতাংশেরও বেশি ফ্রেঞ্চ বয়স্করা টিকার আওতায় চলে এসেছেন। এক্ষেত্রে ভ্যাকসিন পাস বড় ভূমিকা নেবে বলে মনে করছেন সমালোচকরা।

ইম্যানুয়েল সরকারের আশা, লকডাউন না করে এই পাসের সাহায্যে কমানো যেতে পারে করোনার সংক্রমণ। আগামী ১০ এপ্রিল ফ্রান্সে নির্বাচন। সেকথা মাথায় রেখেই এগোচ্ছে ম্যক্রনের সরকার।ফ্রান্সের সাধারণ মানুষকে রেস্তরাঁ, পেক্ষাগৃহ, জাদুঘরে যেতে হোলে ভ্যাকসিনেটেড হতে হবে।যাঁরা ভ্যাকসিন নেননি তাঁরা এসব জায়গায় প্রবেশ করতে পারবেন তখন, যখন, তাঁদের কাছে সাম্প্রতিক কোভিড টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট থাকবে। অথবা খুব শিগগির করোনা থেকে সেরে ওঠার প্রমাণ থাকবে। ১৬ বছরের ঊর্দ্ধে কোভিড টিকার দুটি ডোজ নেওয়া লোকজন পর্যটন স্থল, ডোমেস্টিক ফ্লাইট,ট্রেনে উটতে পারবেন। তবে ভুয়ো পাস, জালিয়াতি রুখতে এই নয়া আইনে বেশ কড়াকড়ি করা হয়েছে।