John Alfred Tinniswood. (Photo Credits: X)

১১২ বছর বয়েসে প্রয়াত হলেন ইংল্যান্ডের সাউথপোর্টের বাসিন্দা জন আলফ্রেড টিন্সিসউড (John Alfred Tinniswood)। বিশ্বের সবচেয়ে বেশী বয়সের পুরুষ হিসেবে তাঁকেই স্বীকৃতি দিয়েছিল গিনিজ কর্তৃপক্ষ। লিভারপুল ফুটবল ক্লাবের অন্ধভক্ত জন আলফ্রেড চলতি বছর এপ্রিলে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষের বিশ্ব স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। ১৯১২ সালে জন্ম হয় জন আলফ্রেড টিন্সউডের। তাঁর জন্মের বছর দুয়েক পরেই শুরু হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জন্মানো জন বিয়ে করেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। ১৯৪২ সালে জন যখন ব্লোডওয়েন নামের যখন সুন্দরী মহিলার হাতে বিয়ের আংটি পরাচ্ছেন, তখই সেই চার্চের সামনে আকাশ থেকে শত্রু পক্ষের বোমা উড়ে এসে পড়েছিল। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী।

দুনিয়ার সবচেয়ে বেশী বয়েসের পুরুষের খবরটি

পোস্ট অফিসে দীর্ঘদিন চাকরির পর ১৯৭২ সালে অবসর নেন। এরপর দীর্ঘ ৫২ বছর অবসর থেকে নানা সামাজিক কর্ম করেন। অবসর জীবনে চলে যাওয়া মানুষদের মানসিক অবসাদ দূর করার চেষ্টাও করেছিলেন। বারবার বলতেন, মানুষের আয়ু বয়স দিন বিচার করা যায় না, বিচার করা যায় ইচ্ছা, কর্মশক্তি দিয়ে। যদিও দুনিয়া তাঁকে মনে রাখবে তাঁর দীর্ঘায়ুর জন্য। সেভাবে কোনওদিন কোনও বড় অসুখ হয়নি তাঁর। খাওয়া দাওয়া স্বাভাবিক রাখতেন। পর্যাপ্ত ঘুম, আর বেশী করে জল পানে জোর দিতেন। আর সব সময়ই হাসিমুখে থাকার চেষ্টা করতেন। এমন কথাই জানিয়েছেন জনের পরিবারের সদস্যরা।

তাঁর মৃত্যুর পর এবার দুনিয়ার সবচেয়ে বেশী বয়েসে জীবিত পুরুষের নজিরটা যাচ্ছে ব্রাজিলের হুয়া মারিনহো নেতো (João Marinho Neto)-র দখলে। তাঁরও বয়স ১১২ বছর, তবে সদ্য প্রয়াত জন আলফ্রেড টিন্সউডের চেয়ে তিনি কয়েক মাসের ছোট। আর দুনিয়ার সবচেয়ে বেশী বয়েসে বাঁচা জীবীত মানুষের নজিরটি রয়েছে জাপানের মহিলা তোমিকো ইত্তোকা (১১৬ বছর)-র দখলে।