
ক্যাজালপুস্তেল্যাঙ্গো, ২৫ ফেব্রুয়ারি: ক্রমশ বাড়ছে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। ইরাক, ইরান ওমানের পর ইতালি (Coronavirus Outbreak In Italy)। করোনাভাইরাসের থাবায় এখনও পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। যদিও প্রশাসনিক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বাসিন্দাদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেছেন। প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে। নতুন করে নাকি সংক্রমণ ছড়ায়নি। গোটা ইউরোপে এখনও পর্যন্ত ২৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু মিলেছে। সোমবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন ইতালির নাগরিক সুরক্ষা বিভাগের প্রধান অ্যাঞ্জেলো বোরেলি। যাইহোক মাত্র দশজনের শরীরে এই সংক্রমণের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যা গত কয়েকদিনের তুলনায় বেশ খানিকটা কম।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে যেভাবে মহামারীর চেহারা নিয়েছে মারণ রোগ করোনাভাইরাস, ইউরোপে সেভাবে বিস্তার লাভ করতে পারেনি। ইতালিতেও করোনার গ্রাস এখ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। দেশের উত্তরাংশের ল্যাম্বার্ডি এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামে করোনাভাইরাস আক্রান্দের সন্ধান মিলেছে। সেখানেই সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। সুরক্ষার কথা চিন্তা কে গ্রামগুলিকে জনশূন্য করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বাসিন্দাদের একটু অসুবিধা হবে। কারণ সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলিতে যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে। ল্যাম্বার্ডির দশটি শহর ও ভেনেটোতে এখন কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ৫০ হাজার বাসিন্দা গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। স্কুল, কলেজ, ডিস্কো, বার, হোটেল সব বন্ধ রাখা হয়েছে। আরও পড়ুন-Coronavirus Outbreak: এবার করোনার গ্রাসে ইরাক ও ওমান, প্রথম আক্রান্তের খবর মিলল
এই ঘটনায় দেশেরউত্তরাংশের ৩০ মিলিয়ন মানুষ প্রভাবিত হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে বন্ধ রাখা হয়েছে মিলান ফ্যাশন উইক ও ভেনিস কার্নিভ্যাল। সোমবার সন্ধ্যায় ক্রীড়ামন্ত্রী ভিনসেঞ্জো স্পাডাফোরা জানিয়েছেন, ইন্ডোরে হবে ফুটবল ম্যাচ। সেখানে দর্শক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। মিলানের গর্ব লা স্ক্যালা অপেরা বন্ধ রাখা হয়েছে। গির্জায় কোনও বড় অনুষ্ঠান আপাতত স্থগিত। এমনকী, কারোর অন্ত্যেষ্টিতে শুধুমাত্র নিকটাত্মীয় ছাড়া বাইরের লোকজনের প্রবেশেও ইতি টানা হয়েছে। করোনার থাবায় কাহিল মিলানের শেয়ার বাজার। রোমের মতো পর্যটন প্রিয় শহরে পর্যটকরাও সুরক্ষা বলয় ছাড়া প্রবেশ করছে না। হোটেল বুকিং নেই বললেই চলে। এক বিরাট ঝড়ের অপেক্ষায় যেন প্রহর গুনছে গোটা ইতালি।