সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি বাংলাদেশের প্রাক্তন বিদেশ সচিব(Photo Credit: Facebook)

ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর: প্রয়াত হলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলির ভাইপো তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন পররাষ্ট্রসচিব ও কূটনীতিক (Former Bangladesh High Commissioner to India) সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি (Syed Muazzem Ali)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। আজ সোমবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তাঁর মৃত্যু হয়। বার্ধক্য জনিত অসুস্থতায় ওই হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন ধরেই চিকিৎসাধীন ছিলেন বাংলাদেশের এই প্রাক্তন হাইকমিশনার। ১৯৪৪ সালের ১৮ জুলাই বাংলাদেশের সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন মোয়াজ্জেম আলি। তিনি বিদেশ সচিব হিসেবেই বেশিদিন কাজ করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই শোক জ্ঞাপন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের তরফে বিদেশেমন্ত্রী ডক্টর এস জয় শংকরও শ্রদ্ধা জানান পাশাপাশি, তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন।

তিনি যে একদন বিদেশ সচিব হিসেবে কতটা দক্ষ ও বন্ধুত্বপূর্ণ ছিলেন তা টুইট বার্তায় জানিয়েছেন ডক্টর এস জয় শংকর। ২০০১ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেন মোয়াজ্জেম আলি। তখন তিনি বাংলাদেশের বিদেশ সচিব ছিলেন। এরপর দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগে সায় দিলে তিনি হাইকমিশনার হয়ে ভারতে চলে আসেন। গত নভেম্বরে তাঁর হাইকমিশনার পদের কার্যকালের মেয়াদ ফুরোলে তিনি ঢাকায় ফিরে যান। সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি ১৯৬৮ সালে সিএসপি কর্মকর্তা হিসেবে পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে কূটনীতিক হিসেবে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে কর্মরত ছিলেন। সে সময় তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। এবং নতুন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন জানান। ২১ ফেব্রুয়ারি যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, এই স্বীকৃতির নেপথ্যে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলির ভূমিকা অসামান্য। আরও পড়ুন-New York Synagogue Stabbings: নিউইয়র্কে ইহুদি ধর্মগুরুর বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা, ছুরিকাঘাতে জখম ৫

তাঁর পরিবার বাংলা সাহিত্যের অঙ্গনে এক উজ্জ্বল অবস্থানে রয়েছে। অবিভক্ত বাংলা যখন ভারতে ব্রিটিশ রাজত্ব চলছে, সেই সময় সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলির বাবা প্রয়াত সৈয়দ মোস্তাফা আলি কাকা সসৈয়দ মুর্তাজা আলি দুজনেই স্বাধীনতার আগে অসম সিভিল সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন। প্রচুর বই ও প্রবন্দ নিবন্ধ লিখেও বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন।