এই বছর জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা টুইটারের হ্যান্ডেলগুলির (Twitter Handles) তালিকা প্রকাশ করল টুইটার। মঙ্গলবার বিভিন্ন বিষয়ে সর্বাধিক জনপ্রিয় টুইটার হ্যান্ডেলের নাম ঘোষণা করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। 'টুইটার ইন্ডিয়া' (Twitter India) নামে ওই হ্যান্ডেল থেকে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মূল ইভেন্ট, সেলিব্রিটি, স্পোর্টস টিম, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মতো বিভিন্ন বিষয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা ১০ জনের নামের তালিকা। ভারতের মহিলা রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বদের ক্ষেত্রে সর্বাধিক জনপ্রিয়তায় থাকা ১০ টুইটারের হ্যান্ডেলের অধিকারিণীরা হলেন- স্মৃতি ইরানি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা, সুষমা স্বরাজ, নির্মলা সীতারমন, মমতা ব্যানার্জি, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, অলকা লম্বা, মায়াবতী, মেহেবুবা মুফতি, অতিসি মারলেনা।
স্মৃতি ইরানি: স্মৃতি জুবিন ইরানি বর্তমানে নারী ও শিশুবিকাশ মন্ত্রী। অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা স্মৃতির জন্ম দিল্লির এক মধ্যবিত্ত পাঞ্জাবি পরিবারে। রাজনৈতিক জীবনের প্রথম দিকে তিনি বিজেপির মহিলা শাখার নেত্রী ছিলেন। পরবর্তীতে গুজরাত থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হন। বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। লোকসভা ভোটে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হন। দুটি নির্বাচনেই তিনি পরাজিত হন। আরও পড়ুন: Jalpaiguri: লেভেল ক্রসিংয়ের গেট তুলে রেল লাইন পার হচ্ছে হাতি, ভাইরাল ভিডিও
These women politicians were the most mentioned on Twitter #ThisHappened2019 pic.twitter.com/Pc3lAMbzMm
— Twitter India (@TwitterIndia) December 10, 2019
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা: প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বর্তমান সভানেত্রী ও সংযুক্ত প্রগতিশীল জোটের চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধীর কন্যা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। শেষ লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক ময়দানে অভিষেক ঘটে তাঁর।
সুষমা স্বরাজ: সদ্য প্রয়াত নেত্রী ছিলেন বিজেপির অন্যতম প্রধান নেত্রী। সাতবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনবার বিধানসভার সদস্য হয়েছেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি বিদিশা কেন্দ্র থেকে সাংসদ হন। ১৯৯৮ সালের ১৩ অক্টোবর দিল্লির পঞ্চম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন সুষমা। তিনিই ছিলেন দিল্লির প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৯ সালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান।
নির্মলা সীতারমন: ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম রাজনীতিবিদ। বর্তমানে দেশের অর্থমন্ত্রক সামলাচ্ছেন।কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১২ সাল থেকে ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষের রাজ্যসভার সদস্য তিনি। নির্মলা সীতারমন ইন্দিরা গান্ধীর পরে ভারতের দ্বিতীয় মহিলা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
মমতা ব্যানার্জি: পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা-সভানেত্রী। বর্তমানে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, ভূমি ও ভূমিসংস্কার, তথ্য ও সংস্কৃতি, পর্বতাঞ্চল বিষয়ক, কৃষি, বিদ্যুৎ, কর্মী ও প্রশাসনিক সংস্কার, সংখ্যালঘু কল্যাণ ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগেরও ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। ২০১১ সালে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে পরাজিত করে ক্ষমতায় আসেন তিনি।
প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী: প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী কংগ্রেসের হাই প্রোফাইল কর্মী ছিলেন। ১০ বছর তিনি কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্যারোডি বানিয়ে দেশজুড়ে সমালোচিতও হন। সম্প্রতি তিনি যোগ দেন শিবসেনায়।
অলকা লম্বা: ২০১৩ সালে আম আদমি পার্টিতে যোগ দেওয়ার আগে কংগ্রেসেরই সদস্যা ছিলেন অলকা। ২০১৫ সালে চাঁদনি চক কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়কও হন। এরপরেই তাঁর সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়। এমনকি দিল্লি বিধানসভায় একবার রাজীব গান্ধীর নামে নিন্দাপ্রস্তাব আনাকে কেন্দ্র করেও দলের নেতৃত্বের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন অলকা।
মায়াবতী: মায়াবতী নায়না কুমারী উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) জাতীয় সভাপতি।
মেহবুবা মুফতি: ভারত নিয়ন্ত্রণাধীন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ সাঈদের মেয়ে ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য। ১৯৯৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি গঠন হলে সেই দলে যোগ দেন তিনি।
অতিসি মারলেনা: ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আম আদমী পার্টির(AAP) প্রথম প্রার্থী ছিলেন তিনি। তিনি দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়ার প্রাক্তন অ্যাডভাইসর।