দার্জিলিঙ (Photo Credits: Pixabay)

কলকাতা, ৬ জুন: লকডাউনের ফলে মাঠে মারা পড়েছে পর্যটন শিল্প (Tourism)। একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার শীর্ষ পর্যটনস্থল দার্জিলিং-ও (Darjeeling)। সামনেই বর্ষা, দার্জিলিঙের রাস্তায় নানা জায়গায় নামবে ধ্বস। তাই এইসময় পর্যটক এমনিতেই আসে না, তার ওপর করোনার প্রকোপে সামনের কয়েক মাস ব্যবসায় ছিটেফোঁটা রোজগারের আশা দেখতে পারছে না হোটেল মালিকরা।

তাই দার্জিলিংয়ের হোটেলগুলি ১ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি গোটা হিল স্টেশন এবং পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১০,০০০ পরিবারের জীবিকাকে প্রভাবিত করতে পারে। দার্জিলিং শহরে এবং এর আশেপাশে ৩৮০ টি হোটেল রয়েছে যা প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ৪.৫ লাখ পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করে। আরও পড়ুন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আলিপুর জেলা আদালতের ২ বিচারক

যদিও রাজ্য সরকার ৮ জুন থেকে হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলি পুনরায় চালু করার অনুমতি দিয়েছে, কিন্তু দার্জিলিং হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, মহামারীর কারণে মাত্র কয়েকজন পর্যটক আসবে শুধু তাদের নিয়ে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাঙ্গয়ে শেরিং বলেছেন,“অদূর ভবিষ্যতে আমরা পাহাড়ে কোনও পর্যটক আসার চিহ্নমাত্র দেখতে পাচ্ছি না।" বুধবার সমিতির সভা চলাকালীন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও এক হোটেলওয়ালা বলেছেন, “অফ-সিজনে হোটেলগুলি খোলা রাখা অসম্ভব হবে না”। গ্রীষ্মে দার্জিলিং উজ্জীবিত থাকে। বর্ষায় পর্যটন শিল্পের জন্য নিস্তেজ আবহাওয়া হয়ে যায়। ভ্রমণ ও ট্যুর অপারেটর সহ পর্যটন শিল্পের যারা আছেন তারা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত পুরোও রেস্তোরাঁ, পরিবহন সেক্টরের পুরো অঞ্চল জুড়ে পর্যটন শিল্পকে প্রভাবিত করবে। উত্তরবঙ্গ পর্যটন সার্কিট-দার্জিলিং, কালিম্পং এবং ডুয়ার্স। কালিম্পং এবং ডুয়ার্সের হোটেল মালিকরা অবশ্য এখনও এ জাতীয় কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।