Credit: Twitter or X

প্রতি বছর কাশিতে একটি ভিন্ন ঐতিহ্যের সঙ্গে পালন করা হয় হোলির উৎসব। প্রতি বছর খুব আড়ম্বরে খেলা হয় মাসানের হোলি, এই হোলি সারা বিশ্বে বিখ্যাত। বেনারসে রংভারী একাদশীতে ভক্তদের সঙ্গে হোলি খেলেন বাবা বিশ্বনাথ। এই উৎসবের দ্বিতীয় দিনে মাসানে ভূত ও নপুংসকদের সঙ্গে হোলি খেলে মানুষ। এবার মাসানের হোলিতে উপাসকদের সঙ্গে ভস্ম উৎসব উদযাপন করবেন নাগা সাধুরাও। মহা কুম্ভের অমৃত স্নানের পর বেনারসে ভিড় জমাচ্ছে নাগা সন্ন্যাসীরা। ২০২৫ সালে মাসানের হোলি উৎসব শুরু হবে ১১ মার্চ।

বাবা বিশ্বনাথের শহরটিকে বিশ্বের প্রাচীনতম আধ্যাত্মিক শহর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাবার প্রতি ভক্তির অনন্য উদাহরণ এখানেও দেখা যায়। একদিকে হোলি এলে নিজেদের রঙে রাঙাতে দেখা যায় বেনারসি মানুষদের, অন্যদিকে খেলা হয় 'চিতা ভস্মের হোলি'। বিশ্বনাথের সঙ্গে ছাইয়ের হোলি খেলেন সাধু অঘোরি বাবারা, এটি একটি অনন্য এবং প্রাচীন ঐতিহ্য। মৃত্যুর দেবতা শিবকে উৎসর্গ করা হয় মাসান হোলি। এই বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নাগা সাধুরা আসছেন মহাদেবের সঙ্গে মাসান হোলি খেলতে।

হোলি পর্যন্ত বেনারসে থাকবেন নাগা সাধুরা। হোলির পর কেদারনাথের দিকে যাবেন তারা। বাবা বিশ্বনাথের সঙ্গে আগে যেভাবে হোলি খেলা হয়েছিল, এবারও তাই হবে। কাশির মাসান হোলি বাবা বিশ্বনাথের একটি মহান আশীর্বাদ। বেনারসের শ্মশানে পালন করা হয় সাধু-ঋষিদের হোলি। হরিদ্বার হোক, নাসিক বা উজ্জয়িন, এই জায়গাগুলিতে খেলা হয় হোলি। প্রতি ১২ বছরে কুম্ভের আয়োজন করা হয়, সেই বছরে বেনারসে একসঙ্গে হোলি খেলেন নাগা সাধুরা। পুরো সম্প্রদায়কে নাগা সাধু-সন্ত আখড়ায় জড়ো হয় এবং সেখান থেকে গোটা মণ্ডলী যায় কেদারনাথে।

কাশিতে হোলির বড় উৎসব হল রংভরী একাদশী এবং মাসানের হোলি। বেনারসে শুরু হয়ে গিয়েছে এই হোলির প্রস্তুতি। শ্রী কাশি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্তের বাসভবন থেকে ঐতিহ্যবাহী লোক উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। আগামী ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে রংভরী একাদশী। হোলির ৪০ দিন শুরু হয়েছে কাশিতে। ১১ মার্চ রংভরী একাদশীর পর মণিকর্ণিকা ঘাটে খেলা হবে মাসান হোলি। নাগা সাধুরা ও তাদের ভক্তরা চিতার ছাই দিয়ে খেলবেন এই হোলি। রংভরী একাদশীর দ্বিতীয় দিনে খেলা হবে মাসান হোলি।