প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Photo Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ৪ জানুয়ারি: করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দেশে বৃহত্তম টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জরুরি ভিত্তিতে দুটি ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দেওয়ার পরের দিন সোমবার একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এত দ্রুততার সঙ্গে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য দেশের বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, দেশ তাঁদের জন্য গর্ব অনুভব করে। ন্যাশনাল মেট্রোলজি কনক্লেভে বক্তব্য রাখার সময় নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, “এটা নিশ্চিত যে মেড ইন ইন্ডিয়া প্রোডাক্টের যে বিশ্বজুড়ে শুধু চাহিদা রয়েছে তাই নয়, গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে। পরিমাণ ও গুণগত মান দুই ক্ষেত্রই সমান গুরুত্বপূর্ণ। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে আমাদের মানকে আরও উপরের দিকে নিয়ে যেতে হবে।”

করোনা তাড়াতে প্রতিষেধকের যাত্রাপর্ব শুরু হতে চলেছে ভারতে। নতুন বছরের শুরুতেই দুই করোনা টিকাকে অনুমোদন দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড (Coronavirus Vaccine Covishield) এবং দেশীয় টিকা কোভ্যাক্সিন সম্পর্কে এদিন ডিসিজিআই-র আধিকারিক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, এই দুটি ভ্যাকসিন ১১০ শতাংশ নিরাপদ। তবে, যে কোনও ভ্যাকসিন নিলেই সামান্য ব্যথা, জ্বর ও অ্যালার্জির মতো সামান্য কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েই থাকে। চলতি বছরের মার্চের মধ্যে ১০ কোটি কোভিশিল্ডের ডোজ তৈরির পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছিল এই সংস্থা। আরও পড়ুন-Jack Ma Not Seen in Public: অন্তরালে আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা, গত ২ মাসে কোথাও দেখা যায়নি চিনা বিলিওনেয়ারকে

আদর পুনাওয়ালা বলেন, “সরকারকে ২০০ টাকায় বিক্রি করা হবে কোভিশিল্ডের প্রতি ডোজ। আর খোলা বাজারে ১ হাজার টাকায় মিলবে এই টিকা। প্রতি মিনিটে প্রায় ৫ হাজার কোভিশিল্ডের ডোজ তৈরি করতে পারে সংস্থা। এই টিকা যাতে বিদেশে সরবরাহ করা যায় সে ব্যাপারেও সরকারের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে। সৌদি আরব ছাড়াও একাধিক দেশের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি রয়েছে। কিন্তু অনুমতি না থাকায় এখন আমরা টিকা রপ্তানি করতে পারব না। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করব কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যাতে বিভিন্ন দেশে এটি আমরা বিক্রি করতে পারি।”