পাটনা, ২৮ মে: বিহারের মুজাফ্ফরপুর রেল স্টেশনে বিছানাচাদারে ঢাকা মুখ। পড়ে আছে পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ। মৃত মাকে বার বার জাগানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে শিশু সন্তান। এই হৃদয় বিদারক ভিডিও ভাইরাল হতেই শিশুটির জন্য ৫ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেল বিহারের আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। মৃত মহিলার শিশুপুত্রের জন্য বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা করেন তেজস্বী যাদব। ওই শিশুটির নামে ৫ লক্ষ টাকা ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করা হবে। সে প্রাপ্ত বয়স্ক হলে ওই টাকা ব্যাংক থেকে তুলতে পারবে। ওই শিশুটির দেখভালের দায়িত্ব নেবে যে পরিজন, তার চাকরির বন্দোবস্ত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন আরজেটি নেতা।
এক টুইট বার্তায় তেজস্বী লেখেন, “মৃত আব্রিনা খাতুনকে বছর দুয়েক আগেই ছেড়ে গেছে স্বামী। শিশুটির বাড়ি কাটিহার জেলায়। সেখানে তার যে পরিজনরা আছেন, তাদের মধ্যে যিনি দেখভালের দায়িত্ব নেবেন তাঁকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেব। কাটিহার জেলাতেই হবে চাকরি।” ২৪ মে গুজরাট থেকে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে চড়েছিলেন আব্রিনা খাতুন। এই ভিডিওতেদেখা যাবে শিশুপুত্র কীভাবে তার মৃত মাকে জাগানোর চেষ্টা করে চলেছে। তথ্য বলছে, গুজরাট থেকে যখন তিনি কাটিহারের উদ্দেশে ট্রেনে চড়েন, তখন দুই সন্তান-সহ তাঁর সঙ্গে ছিল বোন ও ভগ্নীপোত। ২৫ মে বিহারে ট্রেন পৌঁছাতে দেখা যায় তীব্র দাবদাহ, খিদে তেষ্টায় ওই মহিলা অচেতন হয়ে পড়েছেন। যদিও এক টুইট বার্তায় বিহারের পিআইবি-র দাবি খিদে তেষ্টায় ওই মহিলার মৃত্যু হয়নি। মিডিয়া ভুল তথ্য দিচ্ছে। ওই মহিলা অসুস্থ অবস্থাতেই ট্রেনে চড়েছিলেন। সেই অসুস্থতার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আরও পড়ুন-Shramik Special Trains: স্পেশ্যাল ট্রেনে সোমবার থেকে ৯ পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, জানালো রেল
Horrific video on NDTV of a child trying to wake her mother who has passed away at a train station due to exhaustion/thirst/hunger. What are we being reduced to? pic.twitter.com/TNaMt2lBcv
— M K Venu (@mkvenu1) May 27, 2020
করোনাভাইরাস লকডাউনের কারণে সবথেকে বিপর্যয়ে রয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। এর জেরে তারা কাজ হারিয়েছে। এরপর উত্তরপ্রদেশের পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার জন্য় হাঁটতে শুরু করেন। ভারতীয় রেল ১ তারিখ থেকে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন চালাতে শুরু করেছে, যাতে শ্রমিকরা নিজেদের রাজ্যে ফিরতে পারে। এখনও পর্যন্ত সরকার ৩ হাজার ৬০০ হোম চালাচ্ছে। যেখানে পরিযায়ী শ্রমিকরা রয়েছে। ৪৮ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেককেই বাড়িতে ফেরানো গিয়েছে।