সুরক্ষিত বিনিয়োগের মাধ্যমে মাসে মাসে নিয়মিত আয় করার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে পোস্ট অফিসের (Post Office) বিভিন্ন সেভিংস স্কিমে অর্থ লগ্নি একটি উপযুক্ত বিকল্প। পোস্ট অফিসে টাকা রাখলে তাতে ব্যাঙ্কের চেয়ে বেশি সুদ মিলছে। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হল, পোস্ট অফিসে টাকা রাখলে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কম। পোস্ট অফিসে জাতীয় সঞ্চয় মাসিক আয় (Monthly Income Scheme) স্কিম দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঝুঁকি-মুক্ত সঞ্চয় স্কিমগুলির মধ্যে একটি। এই স্কিমটি মধ্যম এবং নিম্ন আয়ের বিনিয়োগকারীদের জন্য কর সঞ্চয় প্রকল্প হিসাবেও কাজ করতে পারে। কারণ, এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে আয়কর আইনে কর ছাড় পাওয়া যায়। পোস্ট অফিস মাসিক আয় স্কিম বিনিয়োগকারীদের নির্দিষ্ট রিটার্নের গ্যারান্টি দেয় যে হারে টাকা প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগ করা হয়েছিল।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর একটি টুইটে ইন্ডিয়া পোস্ট জাতীয় সঞ্চয় মাসিক আয় অ্যাকাউন্টে (National Savings Monthly Income Account) বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছে। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য সর্বনিম্ন পরিমাণ হল ১ হাজার টাকা। সিঙ্গল অ্যাকাউন্টের জন্য সর্বোচ্চ বিনিয়োগ সীমা ৪.৫ লাখ টাকা এবং জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের জন্য সর্বোচ্চ ৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা যাবে৷ একজন ব্যক্তি এই স্কিমে (যৌথ অ্যাকাউন্টে তাঁর শেয়ার সহ) সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগের শেয়ার সমান অংশ থাকে।
জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ তিন জন থাকতে পারবেন। চাইলে নাবালকের নামে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন অভিভাবক। ১০ বছরের বেশি বয়সি নাবালকের নামেও অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। এই স্কিমে সুদের হার ৬.৬ শতাংশ প্রতি বছর।
কত পরিমাণ সুদ পাওয়া যাবে?
অ্যাকাউন্ট খোলার তারিখ থেকে এক মাস পূর্ণ হলেই সুদের টাকা পাওয়া শুরু হবে। যদি প্রতি মাসে সুদ না নেওয়া হলেও এই স্কিমে অতিরিক্ত সুদ পাওয়া যাবে না। মেয়াদ শেষে সুদ-সহ মূল আমানত ফেরত দেওয়া হবে। সিঙ্গল অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা রাখলে ৬.৬ শতাংশ সুদের হার অনুসারে বছরে মোট সুদ পাওয়া যাবে ২৯ হাজার ৭০০টাকা। সেই অনুয়ায়ী প্রতি মাসে সুদ হিসাবে পাওয়া যাবে ২ হাজার ৪৭৫টাকা। জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে ৯ লাখ টাকা রাখলে বছর সুদ দাঁড়াচ্ছে ৫৯ হাজার ৪০০ টাকা। মাসিক সুদ পাওয়া যাবে ৪ হাজার ৯৫০ টাকা।