নতুন দিল্লি, ২০ ডিসেম্বর: নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (CAA) উত্তাপে ঝলসে উঠছে দেশ (India)। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়াচ্ছে বিক্ষোভ। বাদ নেই শিক্ষাঙ্গনও। তাই এই অশান্ত পরিবেশ রুখতে গত সপ্তাহের বুধবারই এক নির্দেশিকা জারি করে দেশের তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক। এই নির্দেশিকায় পরিস্কার বলা হয়েছে, কোনভাবেই টেলিভিশন চ্যানেলগুলি (Television Channel) যেন এমন ফুটেজ না দেখায় যার দ্বারা হিংসার উদ্রেক হয়।
আগেই সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে উপদেষ্টা কমিটি বহাল করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry)। উপদেষ্টায় বলা হয়েছে দেশজুড়ে জনজীবন এবং সাধারণ মানুষের সম্পত্তির সুরক্ষা দেবে সরকার। এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও রাজ্য সরকার এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে সতর্ক হতে। তাঁরা যেন আর পুরনো ফুটেজ দেখিয়ে হিংসা না ছড়ান। কারণ তাতে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। এদিকে কেন্দ্র সরকারের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব বিলটি রাজ্যসভায় পাশ হওয়াতেই উত্তর-পূর্বের রাজ্য অসম প্রতিবাদের ঝড়ের মুখে পড়েছে। ১৯৯৫ সালের কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী, টিভি চ্যানেলগুলিকে সম্প্রচারের উপাদান সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: পুরোনো হিংসাত্মক ঘটনা-দৃশ্য দেখাতে সংবাদমাধ্যমকে বারণ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার
InB ministry issues advisory to channels to not broadcast content that can instigate violence. #NRC_CAA pic.twitter.com/RyBQHQ0HGH
— Marya Shakil (@maryashakil) December 20, 2019
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে অমুসলিম অবৈধ অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্বের অ্যাক্সেস দিয়ে ভারতের নাগরিকত্ব আইনে একটি ধর্মীয় উপাদান আনার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে মত বিভিন্ন মহলে। যেখানে অনেক সম্প্রদায়ই বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে অভিবাসনের ফলে হুমকি বোধ করছেন। লোকসভার পর রাজ্যসভায় বিলটি পাস হয়। ১২ ডিসেম্বর বিলটিতে শিলমোহর দেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ।