প্রায় প্রতিটি দফাতেই বাংলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে অশান্তির খবর উঠে এসেছিল। ব্যতিক্রম হল না সপ্তম দফাতেও। একদিকে যখন ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে অশান্তির খবর উঠে আসছে। তখন অন্যদিকে ইভিএম ও ভিভিপ্যাড জলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর কেন্দ্রের কুলতলির মেরিগঞ্জ এলাকায় ভোটদানে বাধা পেলে রেগে গিয়ে গ্রামের মহিলারা ইভিএম জলে ফেলে দেয়।

এই ঘটনায় অভিযোগের তীর শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, তৃণমূলের কর্মীরা ভোট দিতে বাধা দিচ্ছিল। এমনকী বিরোধীদের এজেন্টদের বসতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই কারণেই এই ঘটনাটি ঘটে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের নেতাদের পাল্টা দাবি, সবকিছুই বিজেপির চক্রান্ত, তাঁরাই ইচ্ছাকৃত ইভিএম জলে ফেলেছে।

অন্যদিকে, এদিন সকাল থেকেই রণক্ষেত্র ভাঙড়। ভোটের আগের দিন থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে অশান্তির খবর উঠে আসছিল। মূলত আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের ঝামেলার কারণে বোমা পড়ে একাধিক জায়গায়। এমনকী তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুড় করার অভিযোগ ওঠে আইএসএফের বিরুদ্ধে।