কলকাতা, ১৪ এপ্রিল: মুর্শিদাবাদে গোষ্ঠী সংঘর্ষের (Murshidabad Violence) ঘটনায় এবার মুখ খুললেন মহম্মদ সেলিম (Mohammad Salim)। মুর্শিদাবাদে হাজির হয়ে সিপিএম নেতা বলেন, অনেক বাধার পর তিনি সংঘর্ষপ্রবণ এলাকায় প্রবেশ করতে পেরেছেন। যেখানে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, গণ্ডগোল হয় গত শনিবার সেই গ্রাউন্ড জিরোতে তিনি প্রবেশ করতে পেরেছেন বলে জানান সেলিম। সংঘর্ষের সময় পুলিশ গ্রামে ছিল না। স্থানীয়দের একাধিক অনুরোধ সত্ত্বেও পুলিশ সংঘর্ষকারীদের গণ্ডগোল চালিয়ে যেতে দেয় বলে অভিযোগ করেন সেলিম। সেই সঙ্গে গোটা গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। চালানো হয় লুটপাট। তাও পুলিশ হাজির হয়নি সংঘর্ষপ্রবণ এলাকায়। আগুন নেভানোরও চেষ্টা করা হয়নি। সংঘর্ষের সময় পুলিশ (West Bengal Police) এবং দমকল বাহিনীর দেখা না পেয়ে গ্রামের মানুষ নিজেরাই আগুন নেভানোয় সচেষ্ট হন বলে অভিযোগ করেন সিপিআইএম নেতা। কেন পুলিশ ঘটনার সময় হাজির হয়নি। এটাই সবার প্রথম প্রশ্ন। সেই সঙ্গে পুলিশমন্ত্রীকে এর জবাব দিতে হবে বলেও মহম্মদ সেলিমকে মন্তব্য করতে শোনা যায়।
শুনুন কী বললেন মহম্মদ সেলিম...
#WATCH | West Bengal: On Murshidabad violence, CPI (M) State Secretary of West Bengal, Mohammad Salim says, "After a lot of trouble, I could enter this place, the ground zero, where all the violence took place and people were killed. Police were not present. Despite repeated… pic.twitter.com/4ojnbkfINc
— ANI (@ANI) April 14, 2025
প্রসঙ্গত ওয়াকফ বিল নিয়ে উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করে মুর্শিদাবাদে। সময় যত গড়াতে শুরু করে, তত বড় আকার নিতে শুরু করে গোষ্ঠী সংঘর্ষ। জঙ্গিপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ছড়ালে, তা যখন বড় আকার নেয়, গোটা রাজ্য জুড়ে চর্চা শুরু হয়।
মুর্শিদাবাদে উত্তেজনার জেরে ইতিমধ্যেই ২ জনের মৃত্যুর খবর মেলে। বাবা-ছেলের মৃত্যুর খবর চাউর হতেই রাজ্য জুড়ে তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। মুর্শিদাবাদের ঘটনার জেরে সেখানকার বেশ কিছু মানুষ গ্রাম ছেড়ে মালদায় চলে যেতে শুরু করেন।
তবে শনিবার বিকেলের পর থেকে তেমন বড় কোনও ঘটনার মুর্শিদাবাদে ঘটেনি। ফলে ঘরছাড়ারা ফের তাঁদের নিজেদের ভিটে, মাটিতে ফিরতে শুরু করেছেন বলে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানান রাজ্য পুলিশের এডিজি জাভেদ শামিম। সে ই সঙ্গে পুলিশ গোটা ঘটনার উপর নজর রেখেছে বলেও মানুষকে আশ্বস্ত করেন রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন শৃঙ্খলা)।