
ঝড়-বৃষ্টির সৌজন্যে স্বস্তি ফিরল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়।আলিপুর আবহাওয়া সূত্রে খবর, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯ কিলোমিটার উপরে বিস্তৃত উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ কম শক্তির ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার ফলেই সোমবার রাতে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়, এই বৃষ্টির সৌজন্যেই মনোরম হয়ে ওঠে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার আবহাওয়া। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও অনেকটাই কমেছে। এদিন সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৭ ডিগ্রি কম।যা চমকে দেওয়ার মতো। কারণ গত বছর ঠিক এই দিনে (২৯ এপ্রিল) কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ এবছর প্রায় ২০ ডিগ্রির তফাৎ। গত বছর ৩০ এপ্রিল তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪৩ ডিগ্রিতে।
হাওয়া অফিস বলছে আগামী ৩-৪ দিনে আরও ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।তাই আপাতত তাপপ্রবাহ ফেরার আশঙ্কা নেই বাংলায়। এর কারণ হিসাবে তারা বলছে উচ্চচাপ বলয় ও অক্ষরেখার প্রভাবেই রাজ্যে বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমনকি দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত উত্তর থেকে দক্ষিণে বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই মতো সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণের সব জেলাতেই হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বুধবার ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে ঝড়বৃষ্টির জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টির পাশাপাশি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হুগলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বভাস রয়েছে। সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ও হতে পারে। উত্তরবঙ্গেও আপাতত ঝড়-বৃষ্টি হবে।