
শ্রীনগর, ২৯ এপ্রিল: পহেলগামে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terrorist Attack) পর থেকে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা জম্মু কাশ্মীর (Jammu And Kashmir) জুড়ে। পহেলগামে হামলার পর কাশ্মীরের মানুষ যেমন হামলার প্রতিবাদে বনধ পালন করেছেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য মনানসিকভাবে পোক্ত হয়েছেন, তেমনি বন্ধ হয়েছে একের পর এক পর্যটনস্থল। জানা যাচ্ছে, গত ২২ এপ্রিল বৈসরণ ভ্যালিতে হামলার পর জম্মু কাশ্মীরের ৮৭টি পর্যটনস্থলের মধ্যে ৪৮টি বন্ধ। হামলার আতঙ্ক, ভয়ে ওই জায়গাগুলি বন্ধ করা হয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুযায়ী, পহেলগামে হামলার পর থেকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি আরও বড় পরিকল্পনা করছে। স্লিপার সেলগুলি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জম্মু কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনী-সহ সাধারণ মানুষ এনং পর্যটকদের উপর কীভাবে হামলা চালানো যায়, সেই পরিকল্পনাই করছে জঙ্গিদের স্লিপার সেলগুলি। ফলে জম্মু কাশ্মীর প্রায় ফাঁকা হতে শুরু করেছে ২২ এপ্রিলের বর্বর হামলার পর থেকে।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানি (Pakistan) গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI) গান্ডেরওয়াল জেলায় হামলা চালাতে চাইছে বেশি করে। জম্মু কাশ্মীরে থাকা সিআইডি কর্মী, পর্যটক, পুলিশ এবং নিরাপত্তা রক্ষীরাই পাক গুপ্তচর সংস্থার প্রধান নিশানা হয়ে উঠেছে বলে খবর।
এসেবর পাশাপাশি কাশ্মীর জুড়ে হত্যা যজ্ঞ চালাতে চাইছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা। উত্তর থেকে দক্ষিণ কাশ্মীর, পূর্ব থেকে পশ্চিম কাশ্মীর, সর্বত্র জঙ্গিদের কাজে লাগিয়ে মানুষ মারতে চাইছে পাকিস্তান। পহেলগাম হামলার পর জম্মু কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই পাকিস্তান আরও সক্রিয়ভাবে জঙ্গিদের কাজে লাগিয়ে ভারতের উপত্যকার পর্যটনকে ধ্বংস করতে চাইছে বলে খবর গোয়েন্দা সূত্রে।
জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে গুলমার্গ থেকে শোনমার্গ কিংবা ডাল লেক চত্ত্বর। সর্বত্র যাতে ভারতীয়দের মেরে হত্যা যজ্ঞ চালানো যায়, সেই পরিকল্পনাই পাকিস্তান করছে বলে খবর সূত্রের।