
দিল্লি, ২৯ এপ্রিল: পহেলগামের (Pahalgam Terror Attack) বৈসরণ ভ্যালিতে যে নারকীয় হামলা চলে, তার পিছনে রয়েছে ৩ জঙ্গি। স্কেচ দেখে যাদের সম্পর্কে ইতিমধ্যেই বহু তথ্য ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। পহেলগাম হামলার নেপথ্যে যে জঙ্গিরা রয়েছে, তাদের মধ্যে একজন হাসিম মুসা। বৈসরণ ভ্যালিতে পর্যাটকদের উপর নারকীয় হামলার পিছনে এই হাসিম মুসাই (Hashim Musa) ছিল মাস্টারমাইন্ড। এমন তথ্যও গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। এই ৩ জঙ্গির খোঁজ দিলে ২০ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার মিলবে বলে ঘোষণা করা হয় প্রশাসনের তরফে।
বৈসরণে নারকীয় হামলায় যে ৩ জঙ্গির নাম সামনে এসেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে হাসিম মুসা ওরফে সুলেমান, আলিয়াস ভাই আলিয়াস ওরফে তালহা এবং আদিল হুসেন থোকের। যে আদিল কাশ্মীরের অনন্তনাগের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। অনন্তনাগের বাসিন্দা আদিল হুসেন গত ২০১৮ সালে পাকিস্তানে পাড়ি দেয়। সেখান থেকে আবার গত বছর কাশ্মীরে ফিরে আসে বলে খবর।
তবে এই হাসিম মুসাই পহেলগাম হামলার মাস্টারমাউন্ড। এমনই তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে উঠে এসেছে। পাকিস্তান সেনা স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের প্রাক্তন প্যারা কমান্ডো হাসিম মুসাই বর্তামানে জঙ্গির রূপ নিয়েছে। পাকিস্তানের এসএসজি গ্রুপের প্যারা কমান্ডো হাসিম মুসা লস্কর-ই-তইবায় যোগ দেয় এবং সেখান থেকে ক্রমশ পহেলগাম হামলার মাস্টারমাইন্ড হয়ে ওঠে।
রিপোর্টে প্রকাশ, ২০২৩ সালে হাসিম মুসা পাকিস্তান (Pakistan) থেকে কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) আসে। ভারতে অনুপ্রবেশের পর থেকে বুদগামে থাকতে শুরু করে এই জঙ্গি। সে খান থেকে সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্ক চালাতে শুরু করে হাসিম মুসা। কাশ্মীরে যাঁরা বেড়াতে আসতেন বাইরের লোকজন, তাঁদের উপর হামলাই ছিল মুসার প্রাথমিক কাজ। সেই মুসাকে কাজে লাগিয়েই পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই পহেলগামে হামলা চালায়। অর্থাৎ পহেলগামে যে ২৬ জন নীরিহ মানুষের প্রাণ যায়, তাদের প্রত্যেককে পরিকল্পনা করে হত্যালীলা চালানো হয় এই মুসার নেতৃত্বে।
পাকিস্তানি মুসার সন্ত্রাসবাদ
পহেলগামের আগে গগনগীরে যে হামলা চলে, তাও এই পাকিস্তানের প্রাক্তন প্যারা কমান্ডো মুসার নেতৃত্বে। যেখানে এক চিকিৎসক-সহ আরও ৬ ভারতীয়কে হত্যা করে মুসা। এরপর বারামুলাতেও হামলা চালায় মুসা। যেখানে ২ সেনার প্রাণ যায়।
আলিয়াস ভাই আলি
মুসার সঙ্গেই কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ করে এই আলিয়াস ভাই নামে আরও এক পাকিস্তানি জঙ্গি। দাচিগ্রামের জঙ্গল হয়ে কাশ্মীরের ত্রালে আসে এই আলি। তারপর ত্রাল থেকে চলে যায় পহেলগামে।
মুসা এবং আলিয়াস ভাই আলিকে কোথায় পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে। উপত্যকায় এই ২ জঙ্গি কোথায় থাকতে পারে, তার সম্ভাব্য প্রত্যেকটি জায়গায় চলছে পুলিশ এবং সেনা বাহিনীর জোর তল্লাশি।