Google Search Engine (Photo Credits: Pixabay)

নয়াদিল্লিঃ সম্প্রতি নয়া ফটো স্ক্যানিং (Photo Scanning) প্রযুক্তি চালু করার পর থেকেই সমালোচনার মুখে গুগল (Google)। ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, গুগল তাদের সম্মতি ছাড়াই গোপনে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে একটি নতুন নজরদারি সরঞ্জাম ইনস্টল করেছে। যাতে গোপনীয়তা রক্ষা হচ্ছে না এবং ব্যক্তিগত তথ্যের উপর ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না। ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুসারে, যখন এই নতুন বৈশিষ্ট্যটি প্রথম চালু করা হয়েছিল, তখন গুগল ব্যবহারকারীদের আশ্বস্ত করেছিল যে প্রযুক্তিটি ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়া ছবি বা অন্যান্য সামগ্রী স্ক্যান করার সুযোগ পাবে না। গুগলের তরফে জানানো হয়েছে, 'সেফটিকোর', ব্যবহারকারীদের সামগ্রী সনাক্ত করতে সহায়তা করার জন্য ডিভাইসের অবকাঠামো সক্ষম করে। শুধু তাই নয় গুগলের দাবি, এই বৈশিষ্টটি ব্যবহারকারীর অনুমতি নিয়েও কাজ করে। উল্লেখ্য, সেফটিকোর হল একটি কাঠামো যা ডিভাইসে থাকা সামগ্রীগুলিকে নিরাপদে এবং ব্যক্তিগতভাবে শ্রেণীবদ্ধ করতে সহায়তা করে। গুগলের তরফে ব্যবহারকারীদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে এই নয়া প্রযুক্তিটি কেবলমাত্র ডিভাইসের মধ্যেই কাজ করবে এবং কোনও ডেটা গুগলে ফেরত পাঠাবে না। গুগলের ৩ বিলিয়ন অ্যান্ড্রয়েড, ইমেল এবং অন্যান্য ব্যবহারকারীদের এআই স্ক্যানিং, পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণের স্তর নির্ধারণ করতে হবে যা তারা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক এবং তারা অনুমতি দেবে এই বৈশিষ্ট কী কী স্ক্যান করবে আর কী না।

আরও পড়ুনঃ পাঠানো যাচ্ছে না মেসেজ, আপলোড করা যাচ্ছে না স্টেটাস, কী হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে

গোপনে ৩ বিলিয়ন ব্যবহারকারীর ছবি স্ক্যান করছে গুগল? প্রশ্নের মুখে গুগল

তবে এই প্রযুক্তির সাম্প্রতিক আপডেটগুলির অনেকগুলিতে গোপনীয়তা সুরক্ষার অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবহারকারীরা। , ফোর্বস এও জানিয়েছে, গুগল মেসেজস প্রথম এই নতুন কার্যকারিতাটি চালু করেছে। গুগলের এর মতে, "গুগল মেসেজস এখন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে নগ্ন ছবি ঝাপসা করার জন্য 'সংবেদনশীল বিষয়বস্তু' সতর্কতা জারি করছে।" এটি কেবল ছবিগুলিকে ঝাপসা করে না, বরং এটি একটি সতর্কতাও প্রদান করে যে এই ধরনের বিষয়বস্তু ক্ষতিকারক হতে পারে। ব্যবহারকারীদের হয় ছবিটি স্পষ্টভাবে দেখার অথবা এই ধরনের বিষয়বস্তুর সঙ্গে যুক্ত নম্বরগুলি ব্লক করার বিকল্প ব্যবস্থা দেওয়া হচ্ছে এই সংস্থার তরফে। তবে তাতেও এড়ানো যাচ্ছে না বিতর্ক। গুগলের নতুন ফটো স্ক্যানিং প্রযুক্তি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে স্থানীয়ভাবে কন্টেন্ট স্ক্যান করে কিছুটা গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা প্রদান করলেও, এটি 'ওপেন-সোর্স' না হওয়ায় স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

গোপনে আপনার ছবি স্ক্যান করে নিচ্ছে গুগল?