জয়পুর, ১ সেপ্টেম্বর: পিপিই কিট পরে এলিমেন্টারি এডুকেশনের ডিপ্লোমা পরীক্ষা দিলেন কোভিড আক্রান্ত ছাত্রী (COVID-19 Positive Student)। রাজস্থানে গতকাল সোমবার এই পরীক্ষা ছিল। ১০৮ নম্বর অ্যাম্বুল্যান্সে চড়ে ওই করোনা আক্রান্ত ছাত্রী স্থানীয় দৌসা রামকরণ যোশি সেকেন্ডারি স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসেন। পরীক্ষার হলে একাই ছিলেন তিনি। দৌসা হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই ছাত্রী। ডিপ্লোমা পরীক্ষার কথা শুনে তা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন ওই পড়ুয়া। জেলা প্রশাসনের তরফে ছাত্রীর পরিবারের তরফে তা জানানো হলে অনুমতিও মেলে। এবং করোনা আক্রান্ত ছাত্রীর জন্য পৃথক পরীক্ষাকেন্দ্র ঠিক করা হয়। সেখানে একাই পরীক্ষা দেন ওই পড়ুয়া। পরীক্ষা চলাকালীন পিপিই কিট পরিহিত এক ইনভিজিলেটরও ওই ঘরে উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাম্বুল্যান্সে করেই পরীক্ষাকেন্দ্রে আনা হয় ওই ছাত্রীকে। এই প্রসঙ্গে দৌসার ডিইও ঘনশ্যাম মীনা বলেন, “ওই ছাত্রী পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। যত তাড়াতাড়ি সে পরীক্ষা দেওার অনুমতি চেয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রশাসনও তার পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই, যাতে ওই ছাত্রীর অ্যাকাডেমিক বছরটা নষ্ট না হয়। করোনা আক্রান্ত ছাত্রী পরীক্ষা দিতে চাইছে তাই তার জন্য যা যা বন্দোবস্তের প্রয়োজন তা করার আগে আমি জেলাশাসক, এডিএম, সিএমএইচও-র সঙ্গে বৈঠকে বসি। একটা পৃথক ঘরে সে পরীক্ষা দেবে। তার জন্য পিপিই কিট বরাদ্দ করা হয়। যাতে পিপিই কিট পরেই সে পরীক্ষা দিতে পারে। একটি মেডিক্যাল টিম অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে আসবে। ওই ছাত্রী যেখানে বসে পরীক্ষা দেবে সেখানে পিপিই কিট পরিহিত একজন ইনভিজিলেটরেরও বন্দোবস্ত করি আমরা। জল ও অন্যান্য বিধি ব্যবস্থাও সেই হলে করা হয়। একই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বিধির নিয়মও অনুসরণ করা হয়।” আরও পড়ুন-Pranab Mukherjee Funeral: মঙ্গলবার বেলা দুটোয় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির শেষকৃত্য, রাষ্ট্রপতি ভবন ও সংসদ ভবনের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকছে
ওই ছাত্রী ৩ ঘণ্টা যাবৎ পরীক্ষা দিয়েছে। তারপর তার উত্তরপত্র স্যানিটাইজ করা হয় ভালভাবে। শুকানোর পর কাগজের ব্যাগে ভরা হয়। যেটি আগেই স্যানিটাইজ করা হয়েছিল। যতক্ষণ পরীক্ষা চলেছে ততক্ষণ পরীক্ষাকেন্দ্রে মেডিক্যাল টিম ছাড়াও ছিল ৮ জন আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষা সম্পূর্ণ হতেই ওই ছাত্রীকে ফের ১০৮ অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।