তিরুবন্তপুরম: কোনও পুরুষ বিবাহিত জানার পরেও যদি কোনও মহিলা তাঁর সঙ্গে ক্রমাগত যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়। তাহলে ওই পুরুষের বিরুদ্ধে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি (False promise to marry) দিয়ে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ কোনও কাজে আসবে না। শনিবার একটি মামলার রায় দিতে এই যুগান্তকারী নির্দেশই দিলেন কেরল হাইকোর্টের (Kerala High Court) বিচারপতি কাউসার এডাপ্পাগাথের (Justice Kauser Edappagath) বেঞ্চ।
৩৩ বছরের এক যুবকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ধর্ষণের মামলা খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি জানান, পুরুষটি বিবাহিত জানা সত্ত্বেও যদি প্রাপ্তবয়স্ক কোনও মহিলা তাঁর সঙ্গে লাগাতার যৌন সম্পর্কে (Sexual Relationship) লিপ্ত হন তাহলে তা প্রেম ও আবেগের (Love and passion) কারণেই হয়ে থাকে। তা কখনই বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতির দেওয়ার কারণে হয় না। তাই এই বিষয়ে ওই পুরুষটির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ খাটে না।
আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযোগকারিণী ওই যুবকের সঙ্গে ২০১০ সাল থেকে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি জানতে পারেন যে যুবকটির পাঁচ-ছ বছর আগেই বিয়ে হয়ে গেছে। তারপরও ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেননি। উল্টে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন জায়গাতেই উভয়ের সম্মতিতেই তাঁরা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। তাই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলেও এক্ষেত্রে শুধুমাত্র যুবকটিকেই দোষী সাবস্ত্য করা যায় না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মামলার হলফনামায় অভিযোগকারিণীর আইনজীবী অভিযোগ করেছিলেন, ২০১০ সাল থেকে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৩৩ বছরের ওই যুবক অভিযোগকারিণীর সঙ্গে লাগাতার যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন। পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এর জবাবে বিচারপতি পালটা জানতে চান, অভিযোগকারিণী আগেই জানতেন ওই যুবক বিবাহিত। তারপরও ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল, দীর্ঘ ৯ বছর তিনি কেন যৌন সম্পর্কে লিপ্ত থেকেছেন? উভয়ের যৌথ সম্মতিতে হওয়া এই সম্পর্কের পর কোনওভাবেই শুধুমাত্র যুবকটিকে দায়ী করা যায় না। তাই ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, প্রতারণা ও ফৌজদারি বিশ্বাসভঙ্গের ধারায় দায়ের হওয়া মামলাটি খারিজ করা হল।
Allegation of rape on false promise to marry will not stand if woman continued relationship after knowing of man's marriage: Kerala High Court
report by @SaraSusanJiji https://t.co/YucsHGx4Nu
— Bar & Bench (@barandbench) October 8, 2022