বাগদাদ, ৩ জানুয়ারি: বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Baghdad's international airport) বিমান হামলায় নিহত হলেন ইরানের (Iran) শীর্ষ সেনা কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি (Qasem Soleimani)। রিপোর্ট অনুসারে, হামলায় নিহত হয়েছেন পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস (Popular Mobilization Forces) নামে পরিচিত ইরান সমর্থিত একটি সংগঠনের উপ কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিসরও (Abu Mahdi al-Muhandis)। ইরাকি আধা সামরিক বাহিনী হাশদ শাবি জানিয়েছে, বিমান হামলায় তাদের পাঁচ সদস্য এবং দু'জন অন্য ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) নির্দেশেই এই হামলা চালিয়েছে অ্যামেরিকার সেনা।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইরানে দুটি টার্গেটে হামলা চালানো হয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে ও যানবাহন জ্বলতে দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই বাগদাদ বিমানবন্দর ও লাগোয়া এলাকায় একের পর এক রকেট আছড়ে পড়ে। এক বিবৃতিতে ইরানের সামরিক বাহিনী দ্বারা পরিচালিত মিডিয়া সেল বলেছে যে রকেটগুলি এয়ার কার্গো হলের কাছে পড়েছিল। আরও পড়ুন: Donald Trump Threatens Iran: বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলার জন্য বড় মূল্য চোকাতে হবে, ইরানকে হুঁশিয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের
এর আগে গত রবিবার ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের কয়েকটি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ৩০ জনকে হত্যা করে অ্যামেরিকা। এর প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার ইরানপন্থী আধা সামরিক বাহিনী পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের (পিএমইউ) হাজার হাজার সমর্থক বাগদাদের সুরক্ষিত গ্রিন জোনে মার্কিন দূতাবাস ভবনে হামলা চালায়। দূতাবাসের প্রধান ফটক ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এরপর তারা দূতাবাসের একটি অংশে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা মার্কিন পতাকাতেও আগুন দেয়। তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেয়। মঙ্গলবার সারাদিন ধরে দূতাবাস অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। বুধবার পিএমইউ নেতাদের ডাকে সাড়া দিয়ে তারা অবরোধ তুলে নেয় এবং দূতাবাস ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু এই বিক্ষোভের ঘটনায় দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করে দি