ওয়াশিংটন, ১ জানুয়ারি: রবিবার হাশদ আস শাবি-র সামরিক ঘাঁটিতে মার্কিন সেনার হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা (Baghdad Embassy Attack) চালায় ইরাকি জনতা। তারা ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডস কোরের প্রধান, জেনারেল কাসেম সোলেমানির অনুগত। দূতাবাস চত্বরে ঢুকে মার্কিন পতাকা পুড়িয়ে পাঁচিলে আগুন দিয়ে জিনিসপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে। এই হামলার নেপথ্যে তেহরানের প্রত্যক্ষ মদত দেখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US President Donald Trump)। অভিযোগ, ইরানই একদল লোককে মদত দিয়ে আমেরিকার দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে পাঠিয়েছিল। তারপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, “এর জন্য বিরাট মূল্য দিতে হবে।” শুধু এখানেই শেষ নয় পশ্চিম এশিয়ায় সেনা পাঠাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, ইরাকে গত ১৭ বছর ধরে মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। সেদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল চায়, অবিলম্বে মার্কিন সেনা বিদায় নিক। এই দলগুলিকে মদত দেয় তেহরান। গত দু’মাসে ইরাক ও সিরিয়ায় বেশ কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। এরপর রবিবার মার্কিন যুদ্ধবিমান ইরাক ও সিরিয়ায় কাতিব হেজবুল্লার কয়েকটি ঘাঁটিতে বোমাবর্ষণ করে। অন্তত ২৪ জন নিহত হয়। তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বাগদাদের গ্রিন জোনে প্রতিটি চেক পয়েন্টের কাছে শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হয়। তাদের দাবি ছিল, অবিলম্বে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা সরাতে হবে। দূতাবাসে হামলার পরেই মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার জানান, আর কয়েকদিনের মধ্যে ৮২ তম এয়ারবোর্ন ডিভিশনের ৭৫০ জন সেনা ইরাকে পৌঁছে যাবে। তাঁর কথায়, “ওই অঞ্চলে মার্কিন নাগরিকদের উপরে হামলার আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য বাড়তি সেনা পাঠাতে হচ্ছে।” আরও পড়ুন-US Embassy Under Attack By Iraqi Supporters : হাশদ আশ শাবি’র সেনাঘাঁটিতে হামলার প্রতিবাদ, বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে আগুন ধরাল ইরাকিরা
ইরাকে বিক্ষোভকারীরা যেভাবে সহজে আমেরিকার দূতাবাসের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল, তাতে অবাক হয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের কর্তারা। ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বহু মানুষ সংরক্ষিত গ্রিন জোনে ঢুকে পড়েছে। তারা দূতাবাসের জানলার কাচ ভাঙছে। সেন্ট্রি বক্সে আগুন লাগাচ্ছে। সেই সঙ্গে স্লোগান দিচ্ছে, আমেরিকা নিপাত যাক।