Zambian Student Death in Ukraine. (Photo Credits: AFP)

লুসাকা (জাম্বিয়া), ১১ ডিসেম্বর: আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়ার পরীক্ষায় দারুণ ফল করে রাশিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়েছিল ২৩ বছরের এক তরুণ। তার নাম লেমেখানি নাথান নাইরেন্ডা। কিন্তু নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার সময় মস্কোয় এক ড্রাগচক্র জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে জাম্বিয়ার সেই ছাত্রর সাড়ে ৯ বছরের জেলের সাজা হয়। জেলে বছর দুয়েক কাটানোর পরই এসে পড়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। জেলবন্দি জাম্বিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র লেমেখানিকে এরপর ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে পাঠায় রাশিয়া। ইউক্রেনে ক মাস যুদ্ধের পর ইউক্রেনের সেনার হাতে মৃত্যু হয় লেমেখানির। এরপর তাঁর দেহ জাম্বিয়ায় ফেরে কফিনবন্দি হয়ে। লেমেখানির কফিনের ওপর কালো পেন দিয়ে লেখা ছিল, বিশ্বাসঘাতকতার প্রমাণ (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ)।

লেমেখানির দেহ তাঁর বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে তার পরিবার, গ্রাম-এলাকা মানুষরা। লেমেখানির মৃত্যু নিয়ে জাম্বিয়ান সরকারের ওপর চাপ বাড়ে। এরপর জাম্বিয়া সরকার এই ছাত্রের মৃত্য়ু নিয়ে রাশিয়ার প্রশাসনের কাছে জানতে চাইলে, পুতিনের প্রশাসন সব কথা স্বীকার করে নেয়। তবে মস্কো জানায়, লেমেখানি নিজেই চেয়েছিলেন যুদ্ধে লড়বেন। আর এর জন্য তিনি নাকি আবেদন করে চিঠিও লেখেন। লেমেখানিকে যুদ্ধ হিরো, শহীদ বলেও স্বীকৃতি দিয়েছে মস্কো। রাশিয়া জানিয়েছে, খুব দ্রুত লেমেখানির পরিবারকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আরও পড়ুন-তালিবান, পাক সেনার লড়াই, উত্তপ্ত সীমান্ত আটকে বহু মানুষ, দেখুন ভিডিয়ো

দেখুন টুইট

রাশিয়ায় জেলবন্দি আফ্রিকানদের যুদ্ধে পাঠিয়ে ইউক্রেনকে জব্দ করার কৌশল নিয়েছে মস্কো। এমন অভিযোগ মার্কিন সংবাদমাধ্যমে করা হচ্ছে। নিজের দেশের মানুষ যুদ্ধে প্রাণ হারালে পুতিনের ওপর চাপ বাড়বে, আর তাই জেলবন্দি আফ্রিকানদের যুদ্ধে পাঠাচ্ছে রাশিয়া। এমন অভিযোগটা জাম্বিয়ান ছাত্রের মৃত্যু অনেকটাই প্রমাণ হল বলে মনে করা হচ্ছে।