ভ্লাদিভোস্তক, ৫ সেপ্টেম্বর: ভারতের সঙ্গে তদানীন্তন সোভিয়েত রাশিয়ার সম্পর্ক চির মধুর। সেই সম্পর্কের আগে আর কোনও রকম বৈদেশিক সম্পর্ক হতেই পারে না। রাজদানী ভ্লাদিভস্তকে প্রথম কনস্যুলেট করেছিল ভারত-ই। এবার সেই রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ইস্টার্ন ইকনমিক ফোরামে (5th Eastern Economic Forum) আনুমানিক সাত হাজার কোটির (USD 1 billion) ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। রাশিয়ার পূর্ব প্রান্তের বিকাশের জন্যই এই ঋণের ঘোষণা বলে খবর। এর আগেই রাশিয়ার সঙ্গে পুরনো সম্পর্ক ঝালিয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তাঁর দাবি,‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির অংশ হিসেবেই রাশিয়ার উন্নতিতে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করতে চায় ভারত। রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) প্রশাসনিক দক্ষতার প্রশংসাও শোনা গেল এ দিন তাঁর মুখে। রাশিয়ার উন্নয়নে পুতিনের ভূমিকার তারিফ করেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘পুতিন তুষারাবৃত রাশিয়াকে ফুলের বাগানে পরিণত করেছেন। সুন্দর ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক তিনি।’’ বিদেশের মাটিতে নতুন ভারতের তত্ত্ব দিতে দেরি করেননি নরেন্দ্র মোদি। বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্ককে বাড়িয়ে নিয়ে যেতে তিনি অদূর ভবিষ্যতে মহাকাশ ও সমুদ্র গবেষণায় রাশিয়াকে পাশে চান। ইতিমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত তেল, গ্যাস, প্রতিরক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি চুক্তি গুলিকেই কথাও উল্লেখ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। বুধবারও বেশ কয়েকটি আর্থিক চুক্তি হয়েছে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে। কথা প্রসঙ্গে কাশ্মীর ইস্যু এলে তানিয়েও পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করে সবটা বুঝিয়ে বলেন। সেই সঙ্গে আশ্বাস দেন, রাশিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে সম্পর্কের চাপানউতোর চলছে, তার প্রভাব ভারত রাশিয়ার সম্পর্কে কোনওদিনই পড়বে না। আরও পড়ুন-জাকির নায়েককে দেশে ফেরাতে তৎপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রত্যার্পণে সায় মালয়েশিয়ার
PM Narendra Modi at 5th Eastern Economic Forum: For the development of Far East, India will give line of credit worth US$ 1 Billion. My govt has actively engaged East Asia as part of its 'Act East' policy. This will also give a new dimension to our economic diplomacy. #Russia pic.twitter.com/tMWmcinh4P
— ANI (@ANI) September 5, 2019
তিনি যে এক ভারতের স্বপ্ন দেখছেন, তানিয়েও আলোচনা করেন। ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ শুধু ভারতেই নয়, মিত্রশক্তির বিকাশেও কাজে লাগাতে চান। সেজন্যই সাত হাজার কোটির ঋণ দানে তিনি আগ্রহী হয়েছেন। আগামী ২০২৪ সালের মদ্যে নাকি কেন্দ্রের সরকার ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতির রেখাচিত্র ছুঁয়ে ফেলবে।