মানবদেহের ৭০ শতাংশই জল দিয়ে গঠিত, তাই সবাই জানেন বেঁচে থাকার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল জল। পানীয় জল আমাদের জন্য কতটা উপকারী তা সবাই জানে, তবে এই পানীয় জল যখন তামার পাত্রে রেখে পান করা হয় তখন এর গুণ আরও বেড়ে যায়। তাই প্রাচীনকালে জল সংরক্ষণ করে রাখা হত তামার তৈরি পাত্রে। বর্তমানে ফিল্টার এবং পিউরিফায়ারের যুগে কেউ আর তামার পাত্র ব্যবহার করে না। কিন্তু তামার পাত্রের জল পান করার উপকারিতা জানলে হয়তো আবার তামার পাত্র ব্যবহার করার কথা ভেবে দেখবে সবাই। চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক তামার পাত্রের উপকারিতা।
তামার মধ্যে নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার কারণে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মরে যায়, এর ফলে আলসার, বদহজম এবং সংক্রমণের মতো সমস্যা হয় না। তামার পাত্রের জল লিভার এবং কিডনির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে। তামার পাত্রের জল পান করলে দ্রুত ওজন কমে যায়। তামা শরীরের চর্বি ভেঙে তা দূর করতে সাহায্য করে। শরীরে চর্বি না জমার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তামা ক্ষত দ্রুত নিরাময় করতে, ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এমনকি তামা শরীরের ভিতরের ক্ষত নিরাময় করতেও সাহায্য করে।
তামার পাত্রের জল ত্বকের বার্ধক্যের সূক্ষ্ম রেখা কমানোর জন্য খুব উপকারী। তামার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বককে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। তামার পাত্রের জল হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে হৃদরোগের বিকাশের ঝুঁকি কমে যায়। হৃদরোগের পাশাপাশি তামার পাত্রের জল ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়। এছাড়া রক্তশূন্যতার মতো মারাত্মক রোগে ভুগলে তামার পাত্রে রাখা জল পান করা এবং তামার পাত্রে খাবার খাওয়া উপকারী। এটি হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে, যার ফলে রক্তশূন্যতার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তামার পাত্রে রাখা জল পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকে, এটি গ্রীষ্মের মাসগুলির জন্য খুবই উপকারী।