Aadhaar Card, Voter Card (Photo Credit: Twitter)

কলকাতা, ১৭ মে: গত সোমবার চতুর্থ দফায় বাংলায় ৮টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হয়। পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও নদিয়া জেলার দুটি করে এবং মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব বর্ধমানে একটি করে লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। বহরমপুর থেকে পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম-বোলপুর থেকে কৃষ্ণনগর রানাঘাট, আসানসোল থেকে বর্ধমান দুর্গাপুরে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। আগের তিনটি দফার মত এই দফাতেও মহিলা ভোটারদের ভোটদানের হার ছাপিয়ে গেল পুরুষদের। চতুর্থ দফায় ভোট হওয়া রাজ্যের আটটি লোকসভা কেন্দ্রে সামগ্রিক ভোটদানের হারে ৭৯ শতাংশ পুরুষ ও ৮১.৪৯ শতাংশ মহিলা ভোটার।

দিলীপ ঘোষ বনাম কীর্তি আজাদ দ্বৈরথের কেন্দ্র বর্ধমান-দুর্গাপুর ও শত্রুঘ্ন সিনহা-র আসানসোল ছাড়া, বাংলার বাকি ৬টি লোকসভা কেন্দ্রেই মহিলারা পুরুষদের থেকে বেশী ভোট দিয়েছেন (শতাংশের হিসেবে)। আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ, তমলুক বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে শোকজ নোটিস কমিশনের

চতুর্থ দফায় শতাংশের বিচারে বাংলায় সবচেয়ে বেশী মহিলা ভোটদান করেছেন বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে। সেখানে পুরুষদের ভোটদানের হার ৮১.২৪ শতাংশ আর মহিলা ভোটারদের হার ৮৪.৫১ শতাংশ। মহুয়া মৈত্র-র কৃষ্ণনগরে মহিলা ভোটরাদের ভোটদানের হার আবার সাড়ে ৬ শতাংশ বেশী। কৃষ্ণনগরে মহিলা ভোটারদের মধ্যে ৮৪ শতাংশ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন।

রানাঘাটে পুরুষদের চেয়ে মহিলা ভোটারদের ভোটদানের হার প্রায় পাঁচ শতাংশ বেশী। নদিয়ার এই লোকসভা আসনে মহিলা ভোটারদের ভোটদানের হার ৮৪.১৯ শতাংশ। অধীর চৌধুরী বনাম ইউসুফ পাঠান দ্বৈরথের বহরমপুরে মহিলা ভোটার যেখানে ৮১.৬২ শতাংশ, সেখানে পুরুষদের হার মাত্র ৭৩.৬১ শতাংশ। আসানসোলে পুরুষ ভোটারদের ভোটদানের হার ৭৫.১৪ শতাংশ, সেখানে মহিলাদের ভোটদানের হার ৭১.৩৩ শতাংশ। শতাব্দী রায়ের বীরভূমে মহিলা ভোটারদের ভোটদানের হার পুরষদের থেকে ১ শতাংশের চেয়ে কিছুটা বেশী।

তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের দাবি লক্ষ্মীভাণ্ডারের সুফল পেয়েই বাংলার মহিলা ভোটাররা বেশী সংখ্যায় বুথে ভিড় জমাচ্ছেন। সেখানে বিরোধী দলের নেতাদের দাবি, গ্রামীন অঞ্চলের অনেক পুরুষই বাইরের রাজ্যে কাজ করেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভোট দিতে না আসায় এমনটা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের দাবি, রাজ্যের মহিলা ভোটার-রা বাংলার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে ইভিএমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তাই তাদের ভোটদানের হার বেশী।

এবার কোন দাবিটা সত্যি সেটা বোঝা যাবে ৪ জুন। তার আগে দেশের মতই বাংলাতেও বাকি তিনটি দফায় ভোট হবে।