গোটা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী রোগের মধ্যে একটি হল এইচআইভি ভাইরাস বা এইডস। এইচআইভি ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের। WHO-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে গোটা বিশ্বে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৩৮.৪ মিলিয়ন মানুষ। তথ্যের অভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ। অনেক চেষ্টা করা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত এই রোগ প্রতিরোধ করার জন্য কোনও ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
প্রতি বছর বিশ্ব এইডস ভ্যাকসিন দিবস পালন করা হয় ১৮ মে। গোটা বিশ্বের মানুষকে এইডস সম্পর্কে সচেতন করতে এবং এইডস ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য বিজ্ঞানীদের উৎসাহিত করার জন্য পালন করা হয় এই দিনটি। প্রথম এইডস ভ্যাকসিন দিবস পালন করা হয় ১৯৯৮ সালের ১৮ মে। ১৯৯৭ সালে মরগান বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন তার ভাষণে এইডসের ভ্যাকসিন তৈরির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন, এরপরই এই দিবসটি পালন করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়।
বিশ্ব এইডস ভ্যাকসিন দিবস পালন করার উদ্দেশ্য হল এইচআইভি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। এই প্রাণঘাতী রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করা খুবই জরুরি। বর্তমানে সারা বিশ্বের মানুষ জানে এইডসের ভ্যাকসিন কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তাই এই ভ্যাকসিন উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞানীদের উৎসাহিত করার জন্য পালন করা হয় এই দিনটি। এইচআইভি একটি গুরুতর বিশ্ব স্বাস্থ্য সমস্যা, ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৮ মিলিয়ন মানুষ এই রোগের শিকার হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে এই রোগ এবং এই রোগের ভ্যাকসিন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়িয়ে তোলা খুবই জরুরি।