ভ্লাদিভস্তক, ৫ সেপ্টেম্বর: কট্টরপন্থী ইসলাম ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েককে (Zakir Naik) প্রত্যার্পণে (extradition) রাজি মালয়েশিয়া। রাশিয়ায় এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Prime Minister Narendra Modi) প্রতিশ্রুতিও দিলেন সেখানকার প্রধানমন্ত্রী মহাথীর বিন মহম্মদ (Mahathir Bin Mohamad)। খুব শিগগির যে জাকির নায়েককে ভারত সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে তাও বলেন মালয়েশিয়ান প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেও জাকির নায়েকের প্রত্যর্পণের জন্য মোদি যেভাবে তাঁকে চাপ দিলেন তাতে স্পষ্ট জঙ্গি দমন নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র। ভারত-মালয়েশিয়ার বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মোদি ও মহাথীর। বৈঠকের শুরুতেই জাকিরকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। এই ঘটনার পর যে জাকির নায়েকের চিন্তা বাড়বে তাতে কোনও রকম সন্দেহ নেই
উল্লেখ্য, ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকের জন্য রাশিয়ায় সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের অটুট বন্ধুত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মোদি বলেন, “দু’দেশের বন্ধুত্ব শুধু দেশগুলির রাজধানীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এই সম্পর্ক দু’দেশের মানুষের মধ্যেও রয়েছে। চেন্নাই থেকে ভ্লাদিভস্তকে জাহাজ চলাচলের রুট তৈরি করারও কথা ভাবছি আমরা।” এরপরেই জাকির নায়েককে ভারতে ফেরানোর প্রসঙ্গে মহাথীর মহম্মদের সঙ্গে তাঁর বার্তালাপ হয়। তিন বছর আগে ভারত থেকে মালয়েশিয়ায় পালিয়ে গিয়ে সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গিয়েছে ৫৩ বছরের জাকির। ঢাকায় একটি রেস্তরাঁয় আত্মঘাতী হামলার পিছনেও তার হাত ছিল। ভারতের পর মালয়েশিয়ায় পৌঁছেও হিন্দু-খ্রিস্টান-চিনা বিরোধী বিতর্কিত ভাষণ দিয়ে স্থানীয়দের মনে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পর ভারতের বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে জানিয়েছেন, জাকিরকে দেশে ফেরানোর জন্য যাবতীয় সাহায্য করবে মালয়েশিয়া। দু’দেশের সরকারি আধিকারিকরা তার জন্য সব সময় নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখে যাবেন। আরও পড়ুন-সংশোধিত UAPA আইন: দাউদ, হাফিজ, লকভি, মাসুদ আজহারদের'ইন্ডিভিজুয়াল টেররিস্ট'হিসেবে ঘোষণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
নতুন ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ (ইউএপিএ অ্যাক্ট) কার্যকরী হতেই তৎপর বিজেপি সরকার। ৯৩—এর মুম্বই বিস্ফোরণের চক্রী পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া দাউদ ইব্রাহিমই হক বা ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক হামলার মাস্টারমাইন্ড লস্কর-ই-তইবার শীর্ষনেতা হাফিজ সইদ হক কিংবা বিতর্কিত ভাষণ দিয়ে দেশে হিংসা ছড়ানোর অভিযুক্ত জাকির নায়েক হক, কাউকেই রেয়াত করবে না মোদি সরকার।