বেজিং, ১৭ মে: শত্রুর শত্রু এখন প্রিয় বন্ধু। ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে, বয়কট বাজারে কোণঠাসা অবস্থার মাঝে রাশিয়া-চিন একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছে। দুটি দেশেরই 'কমন' শত্রু এখন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনকে অর্থ ও অস্ত্র সাহায্য করে রাশিয়াকে হারাতে নেমেছ আমেরিকা। আর টিকটক সহ নানা চিনা পণ্যে কার্যত বয়কট করে ড্রাগনের দেশের অর্থনীতি ভেঙে দিতে মরিয়া জো বাইডেনের দেশ। এই প্রেক্ষাপটে ভোটে জিতে ফের প্রেসিডেন্ট হয়ে সবার আগে চিন সফরে গেলেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর বেজিংয়ে পা দিয়েই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বের বাহুডোরে ধরা দিলেন পুতিন। রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট জানেন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে নেমে আর ইউরোপ, আমেরিকার বয়কটের ফলে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। চিনকে সঙ্গে নিয়ে আমেরিকাকে পাল্টা দিতে মরিয়া পুতিন। চিন আমেরিকার বিরুদ্ধে পাল্টা দিতে চায়। আর সেই পুরনো ফর্মুলায় শত্রুর শত্রু এখন পরম বন্ধু হয়ে উঠেছে।
চিনে দু'দিনের পুতিনের সফরে ধরা পড়ল নানা ছবি, ভিডিয়ো, মুহুর্ত। বেজিংয়ের তিয়ানমেন স্কোয়ারে বাজল রাশিয়ার জাতীয় সঙ্গীত। জিনপিং তাঁর বন্ধু পুতিনকে এমন কিছু জায়গায় নিয়ে গেলেন যা এর আগে কোনও রাষ্ট্রপ্রধানকে নিয়ে যাননি। পুতিনের সঙ্গে জিনপিংয়ের মুখোমুখি কোনওরকম দেহরক্ষী ছাড়া রুদ্ধদ্বার বৈঠকও হয়েছিল বলে খবর।
দেখুন ভিডিয়ো
2 points worth noting 🇨🇳🇷🇺
1️⃣Xi hugged Putin for a goodbye, the first time I’ve ever seen this.
2️⃣Neither of them was wearing a tie.
These only happen between people who are very very very close. pic.twitter.com/ANTAOc8DY8
— Li Zexin (@XH_Lee23) May 17, 2024
তবে পুতিন-জিনপিংয়ের মধ্যে দুই রাষ্ট্রীয় প্রধানের সাক্ষাতের বাইরেও বেশ কিছু ছবির মধ্যে সেরা বোধহয় এটি (ওপরের ছবিটি)। যেখানে দেখা যাচ্ছে পুতিন ও জিনপিং দু'জনে আলিঙ্গন করছেন। দু'জনেই কিন্তু তাদের টাই পরে নেই। কিন্তু কেন? কারণ রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে সরকারী বৈঠকে যদি দু জনেই তাদের কোট বা ওই ধরনের পোশাকে টাই না পরেন, তাহলে বুঝতে হবে দু'জনে বার্তা দিচ্ছেন তারা খুবই ঘনিষ্ঠ। তার মানে পুতিন-জিনপিংয়ের পোশাকে আন্তর্জাতিক মহলকে বোঝানো হল চিন ও রাশিয়া এখন পরম বন্ধু।
আন্তর্জাতিক সংবাদমহল বলছে, এর আগেও বেশ কয়েকবার হাসিমুখে পুতিন-জিনপিং বৈঠক ও মুখোমুখি সাক্ষাত করেছেন। কিন্তু কখনও এভাবেই দু'জনকে এত ঘনিষ্ঠভাবে আলিঙ্গন করতে দেখা যায়নি। কারণ দু জনেই মনে করেন, আমেরিকার দিন শেষ। এবার আমাদের দুনিয়া শাসনের দিন এসে গিয়েছে।