Myanmar Earthquake (Photo Credits: X)

ভূমিকম্প বিপর্যস্ত মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) মৃতের সংখ্যা যেন লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। একদিকে চলছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর আর অন্যদিকে চলছে উদ্ধার অভিযান। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ভূমিকম্পের এমন ধ্বংসযজ্ঞ গত কয়েক দশকে কেউ চোখে দেখেনি। শুক্রবার রিখটার স্কেলে ৭.৭ মাতায় কেঁপে উঠেছিল ভারতের পড়শি দেশ মায়ানমার। সেই কম্পন থাইল্যান্ড-সহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একাংশে অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের মৃদু প্রভাব পড়েছে ভারতেও। ভূমিকম্পে মায়ানমারে মৃতের সংখ্যা ১,৬০০ পার করে গিয়েছে। জখম অন্তত ৩,৫০০। মৃত্যু মিছিল যে আরও এগোবে সেই আশঙ্কায় রয়েছে দেশের সামরিক সরকার জুন্টা।

সাজানো, গোছানো শহর মান্দালয়ের (Mandalay) চেহারা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে ভূমিকম্প। শহরের বিভিন্নপ্রান্তে রাস্তা জুড়ে তৈরি হয়েছে বিশালাকার ফাটল। ভেঙেচুরে একাকার হয়ে গিয়েছে পথঘাট। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফাটল ধরা রাস্তার একটি ভিডিয়ো উঠে এসেছে নেটপাড়ায়। তা দেখে মনে হচ্ছে, ভূ-গর্ভ যেন আছে মানুষ গিলে খাবে বলে।

ভূ-গর্ভ যেন গিলে খাবেঃ

ভূমিকম্পের পরে একের পর এক 'আফটার শক' টের পেয়েছে মায়ানমারবাসী। সুনামির সতর্কতা জারি না হলেও দেশের সামরিক সরকারের তরফে ধ্বংসলীলার খতিয়ান দেওয়া হয়েছে। জুন্টা জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মায়ানমারের প্রায় ৩,০০০টি ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। ৩০টি রাস্তা এবং ৭টি সেতু ভেঙে পড়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ৯০ বছরের পুরনো ইরাবতী নদীর উপরের সেতু। ছিন্ন হয়েছে দেশটির যোগাযোগ ব্যবস্থা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মান্দালয় বিমানবন্দর। ভেঙে পড়েছে বহু পুরনো একটি মসজিত। কম্পনের সময়ে বেশ কয়েকজন মসজিদে শুক্রবারের নমাজ পড়ছিলেন। মসজিদের ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে মারা যান কয়েকজন। কম্পনের জেরে মান্দালয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভেঙে আগুন ধরে যায়।