
বৈষ্ণবনগরে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন বাংলা থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। শুক্রবার দুপুরেই বহরমপুর পৌছেছিলেন বিজয়া রাহাতকারেরা (Vijaya Rahatkar)। সেখানে সার্কিট হাউসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে রওনা দেন মালদার উদ্দেশ্যে। বৈষ্ণবনগরে পারালালপুর হাইস্কুলে পৌঁছে ঘরছাড়া মহিলাদের সঙ্গে কথাও বলেছে বেশ কিছুক্ষণ। এদিন কমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে বিগত কয়েকদিন ধরে যে অত্যাচার তাঁদের ওপর করা হয়েছিল সেই ঘটনা এবং রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দেন মহিলারা।
রাজ্য প্রশাসনের ওপর ক্ষুব্ধ জাতীয় মহিলা কমিশন
আলোচনার পর কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া জানান, যা শুনছি, তা অত্যন্ত ভয়াবহ। এদের ঘরবাড়ি নষ্ট করা হয়েছে কিংবা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জোর করে এদের বের করে দেওয়া হয়ছিল। যা শুনলাম সেই অনুযায়ী, এদের মধ্যে অনেক মহিলাই যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অন্যদিকে অর্চনা মজুমদার বলেছেন, এখনও ঘটনাস্থলে সংবাদমাধ্যমকে পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না? কেন. কী ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেখানে ঘরছাড়ারা উঠেছেন সেখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই। শিশুদের জন্য বেবিফুড নেই। চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যপরীক্ষার আনা হচ্ছে না। এদের ঘরে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কী করবে ঘরে গিয়ে|? বাসস্থানই তো ক্ষতিগ্রস্থ করেছে হামলাকারীরা।
দেখুন অর্চনা মজুমদারের বক্তব্য
Malda, West Bengal: NCW member, Archana Majumdar says, "There is no press here, everything is staged. If the press were allowed, the media would have exposed the reality — that’s why they weren’t let in..." pic.twitter.com/zLtwzPQHJ0
— IANS (@ians_india) April 18, 2025
রাজ্যপালও যাবেন মালদায়
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালেই মালদায় পৌঁছেছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। বিকেলে পৌঁছয় মহিলা কমিশন। এমনকী আজই বৈষ্ণবনগর যাওয়ার কথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের।