সিওল, ২৬ আগস্ট: কিম-জং-উনের বোন কিম-ইয়ো-জংয়ের (Kim Yo-jong) হাতে রয়েছে উত্তর কোরিয়ার শাসকদলের রাশ। মঙ্গলবার একথা জানালেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিয়ং কিয়ং ডুয়ো। সংবাদ সংস্থা ইয়নহাপ জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন সময়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিয়ং কিয়ং ডুয়ো-র কাছে উত্তর কোরিয়ার শাসনভার সংক্রান্ত প্রশ্ন রাখেন। তখন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতার রাশ এখন কিম-ইয়ো-জং-এর হাতে রয়েছে, এমনটাই তিনি মনে করেন। তবে দলকে সবসময় নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিম সেখানেই তাঁর আত্মাকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এমনটাই তিনি বিশ্বাস করেন। শুধু দলই বা বলি কেন, দেশের সেনাদল নিয়েও তো কথা হতে পারে। যেখানে কিমের অনুশাসন বলবৎ রয়েছে। নিজের ধ্যানধারণার উপরে ভিত্তি করেই কিম সেনা ও দলে তাঁর ভূমিকা দায়িত্ব পালন করতেন।
দেখা যাচ্ছে, কিম-ইয়ো-জং শুধু সিওলের স্বৈরাচীরী শাসকদলের দেখভাল করাই নয়, ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কের নিয়ন্ত্রণও করে চলেছে প্রতিনিয়ত। এটা তখনই সত্যি হিসেবে সামনে আসবে যদি কিম-ইয়ো-জং নিজে তা প্রকাশ করেন। বিবিসি-র রিপোর্ট বলছে উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক কিম-জং-উনের একমাত্র সহোদরা হলেন এই কিম-ইয়ো-জং। দেশের শাসনভারে কাঁধ দেওয়ার একমাত্র ভরসা তিনি। কিমের রাজত্বের প্রতিনিধি হিসেবে ২০১৮-তে প্রথম দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যান কিম-ইয়ো-জং। সেই সময়ই আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে নেন কিম-জং-উনের এই ছোট বোন। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases in West Bengal: করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমল বাংলায়, বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যা; একদিনে করোনা আক্রান্ত ২ হাজার ৯৬৪ জন
সে বছরের উইন্টার অলিম্পিক্সের প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন কিম-ইয়ো-জং। যেখানে উত্ত্র ও দক্ষিণ কোরিয়া একই দল হিসেবে অলিম্পিক্সে অংশ নেয়। শুধু এখানেই শেষ নয়, দাদা কিম-জং-উনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সামিটেও অংশ নিয়েছেন বোন। এই তালিকায় দক্ষিণ কোরিয়ান প্রেসিডেন্ট মুন-জে-ইন –এর সঙ্গে বৈঠক যেমন রয়েছে, তেমনই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও বোনকে পাশে রেখেছিলেন কিম-জং-উন। এমনকী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিম-জং-উন যখন বৈঠকে বসেন তখনও বোন কিম-ইয়ো-জং সেখানে উপস্থিত ছিলেন।