ওয়াশিংটন, ১৯ মে: যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে করোনা পরিস্থিতির কোনওরকম উন্নতি না ঘটায় তাহলে বরাবরের জন্য হু-র অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। চিঠিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টরকে এই হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এমনিতেই এখন সাময়িকভাবে হু-এর অর্থ সাহায্য বন্ধ রেখেছে আমেরিকা। এমনকী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য তালিকায় আদৌ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থাকবে কি না তা-ও বিবেচনা করা হবে। সেই চিঠি টুইটারে শেয়ার করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ১৪ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্তার ডিরেক্টরকে চার পাতার চিঠিটি লেখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তাতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব রুখতে ব্যর্থ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাই আমার দেশের প্রশাসন এনিয়ে তদন্ত করছে। যতক্ষণ না তদন্ত রিপোর্ট আসছে, ততক্ষণ হু-র জন্য মার্কিন অর্থ সাহায্য বাতিল থাকল। গুরুতর উদ্বেগের কারণে গতমাসেই এনিয়ে আমি পর্যালোচনার ইঙ্গিত দিয়েছি। বাকিদেরও চিহ্নিত করেছি। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এতদিনে মুখ খোলা উচিত ছিল। তবে তারা তা করেনি। এমনকী, গণপ্রজাতন্ত্রী চিনকে অযথা স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছে। যেহেতু মার্কিন আগ্রহকে কোনওভাবেই পাত্তা দিচ্ছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেহেতু, মার্কিন করদাতাদের টাকায় এই সংস্থাকে আর্থিক সাহায্য দেবে না আমেরিকা। আরও পড়ুন-Donald Trump: এফডিএ-র সতর্কতা মানেননি, দেড় সপ্তাহ ধরে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
This is the letter sent to Dr. Tedros of the World Health Organization. It is self-explanatory! pic.twitter.com/pF2kzPUpDv
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) May 19, 2020
সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে চিনের পুতুল বলে নজিরবিহীন আক্রমণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে বলেন, সংক্রমণ ছড়ানোর সময়ই চিন থেকে মার্কিন মুলুকে আসা নিষিদ্ধ করেছিলেন তিনি। এতে রুষ্ট হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে যদি চিনের মার্কিন মুলুকে যাতায়াত নিষিদ্ধ না হত, তাহলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তো। এছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে নিয়মিত জিংকের সঙ্গে একটা করে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের বড়ি খাচ্ছেন তিনি। তিনি মনে করেন এই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনই করোনার সম্ভাব্য ওষুধ। তাই এফডিএ-র সতর্কবাণী উপেক্ষা করেই ওষুধটি নিয়মিত খাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।