মমতা ব্যানার্জি। (Photo Credits: Twitter)

কলকাতা, ১১ সেপ্টেম্বর: নতুন মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্ট (Motor Vehicle Act 2019) রাজ্যে কার্যকর হবে না। নবান্নে এমন কথা সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। নতুন মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্ট জরিমানার বিপুল অর্থ সাধারণ মানুষের ঘাড়ে বোঝা হয়ে যেতে পারে, এমন কথা সরকারী কর্তারা তাকে জানিয়েছেন। আর তাই নরেন্দ্র মোদি সরকারের আইনকে মানতে রাজি হলেন না মমতা। নতুন মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্ট রাজ্যের সবচেয়ে বড় আপত্তির জায়গা আগের চেয়ে অনেক বেশি টাকার জরিমানা। যে জরিমানার পরিমাণ খোদ নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটে এক লাফে অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। আগামী পয়লা সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে চালু হয়েছে এই আইন।

কেন্দ্রের নতুন মোটর ভেহিক্যালস আইন নিয়ে অসন্তোষের কথা আগেই কেন্দ্রকে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারও জরিমানা কমানোর কথা ভাবছে। জরিমানার অঙ্ক বেশ কিছু সময় হাস্যকর রকমের বেশি হয়ে গেলেও কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতীন গডকরি  নতুন আইনে জরিমানার সিদ্ধান্তকে পজেটিভ হিসেবে দেখে বলেছেন, এতে দুর্ঘটনার পরিমান কমবে। আরও পড়ুন-রানু মণ্ডলের অভিষেক এবার প্রকাশ্যে, টিজারে রানুর হিমেশ স্পর্শ শুরুতেই দাবানলের গতিতে ভাইরাল

রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় আগেই জানিয়েছিলেন, নরেন্দ্র মোদি সরকারের নতুন মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্ট রাজ্যে কার্যকর করা হবে না। নয়া আইনে বিপুল অঙ্কের জরিমানা আম জনতার ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে বলে নয়া আইনের বিরোধিতা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। চলতি বছর ৩১ জুলাই সংসদে পাশ হয় মোটর ভেহিক্যালস সংশোধনী বিল,২০১৯।

একাধিক সংশোধনী আনা হয় পুরনো আইনে। এই বিল পাস হওয়ার ফলে বদলে যাচ্ছে ট্রাফিক আইন সংক্রান্ত একাধিক নিয়ম । সাধারণ ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে আগে ১০০ টাকা জরিমামা দিতে হত, নয়া আইনে দিতে হবে ৫০০ টাকা । বিনা হেলমেটে বাইক/স্কুটার চালালে ১০০০ টাকা জরিমনা বা ৩ মাসের জন্য লাইসেন্স বাতিল হবে । নির্ধারিত গতির চেয়ে বেশি জোরে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে আগে জরিমানা দিতে হত ৪০০ টাকা, নতুন আইনে সেই অঙ্কটা ১০০০ টাকা। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে জরিমানার অঙ্ক ২০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০,০০০ টাকা করা হয়। নয়া আইনে জরিমানার পরিমান ৫ থেকে ২০ গুণ বাড়ছে। লাইসেন্স নীতি না মানলে সর্বোচ্চ জরিমানা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত। একই সঙ্গে হতে পারে তিন বছরের কারাবাস।