কলকাতা, ৯ এপ্রিল: মারণ ভাইরাস করোনার প্রকোপে দিশেহারা মানুষ। প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে হলে বার বার হাত ধুতে হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, হ্যান্ডওয়াশ এসবের বড়ই প্রয়োজন। কিন্তু এত জনঘনত্বপূর্ণ দেশে এসবের উপদান প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম থাকায় সবাই তা সংগ্রহ করতে পারেননি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) কথা দিয়েছিলেন, রাজ্যের মানুষের কাছে সুলভ মূল্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার পৌঁছে দেবেন। সেই কথা রেখেছেন তিনি। চলতি সপ্তাহের শেষেই কলকাতার বাজারে আসতে চলেছে অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ড স্যানিটাইজার। আলিপুরদুয়ারের সরকারি দেশি মদের প্ল্যান্টেও তৈরি হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ারের বাইরে সেখানকার প্ল্যান্টে তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করা যাবে না। এমনই সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। ফার্মা পাইকারি এবং খুচরো বিক্রেতারা জানিয়েছেন শুধুমাত্র কলকাতার বাজারেই চলতি সপ্তাহের শেষের মধ্যে আসতে চলেছে ৪৫ হাজার স্যানিটাইজারের বোতল। সূত্রের খবর ২০০ মিলি বোতলের দাম ৮৫ টাকা বা তারও কম হতে পারে। বর্তমানে এই পরিমাণ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের যা দাম নেওয়া হচ্ছে, তার প্রায় অর্ধেক দামে পাওয়া যাবে সরকারি হ্যান্ড স্যানিটাইজার। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দিষ্ট করে দেওয়া দামের থেকেও অনেক কমে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি করা হবে। আরও পড়ুন-Brazil President Thanks PM Modi: হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সরবরাহের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ দিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট
অন্যদিকে রাজ্য সরকারের নিয়ম মেনে প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষ বাজারজাত করার জন্য তৈরি করেছেন ২০০ এমএলের বোতল, যার মূল্য ধার্য করা হয়েছে মাত্র একশো টাকা। এরই পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে পাঁচ লিটারের কন্টেনার। ওই সংস্থার হাতে এখনও মজুত রয়েছে দু’লক্ষ লিটার স্পিরিট এবং স্যানিটাইজার তৈরির প্রচুর কাঁচা মাল। আবগারি দপ্তরের তৈরি করা হ্যান্ড স্যানিটাইজার তারা কী ভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন, তা নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের উপর। এক কথায় রাজ্য সরকারের নজরদারিতেই তৈরি হল হ্যান্ড স্যানিটাইজার। খুব শিগরিগ রাজ্যবাসী এই স্যানিটাইজার পেতে চলেছে।