Coronavirus: রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ১২.৮ শতাংশ, যা দেশের মধ্যে সর্বাধিক
Plasma Therapy in India for Coronavirus (Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ৪ মে: দু’সপ্তাহের সফর শেষে সোমবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে কেন্দ্রের আন্ত: মন্ত্রক দলটি। সোমবার রাজ্য ছাড়ার আগে সরকারের প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন দলের প্রতিনিধিরা। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি দিয়ে দেন কেন্দ্রীয় আন্ত:মন্ত্রক দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গে ঠিক কতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিংবা কতজন মারা গিয়েছেন। সেই সংক্রান্ত সঠিক তথ্য পেশ করছে না রাজ্য সরকার। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লুকানো হচ্ছে। চিঠিতে এমনটাই দাবি করে আন্ত:মন্ত্রক দলটি। পাশাপাশি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারের তরফে সেভাবে সহযোগিতা মেলেনি বলে দাবি করা হয় চিঠিতে। পাশাপাশি রাজ্যে ৩০ এপ্রিল বুলেটিন থেকে স্পষ্ট যে, রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ১২.৮ শতাংশ। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। যা স্পষ্ট করছে, পশ্চিমবঙ্গে করোনা টেস্টের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। আর যেও পড়ুন: African Swine Flu: করোনাভাইরাসের মাঝেই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু 

গত ৩০ এপ্রিল রাজ্য সরকারের তরফে একটি বুলেটিন প্রকাশ করা হয়। সেই বুলেটিনে স্পষ্ট বলা হয়, রাজ্যে ৫৪২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এছাড়া ১৩৯ জন করোনাভাইরাসকে হারিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন এবং মারা গিয়েছে ৩৩ জন। অর্থাৎ মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪৪। এদিকে ওই একই দিনে কেন্দ্রকে যে চিঠি পাঠানো হয়, সেই চিঠিতে উল্লেখ ছিল, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৯৩১। রাজ্য সরকারের প্রকাশিত বুলেটিন এবং কেন্দ্রকে দেওয়া চিঠির মধ্যে করোনা আক্রান্তকারীর সংখ্যায় স্পষ্ট ১৮৭ আক্রান্তকারীর তফাৎ রয়েছে। চিঠিতে সরকারি হাসপাতালগুলিতে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। যেভাবেই হোক করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখা জরুরি। স্পষ্ট জানানো হয়েছে চিঠিটিতে।

রাজ্যে বিরোঝী দলগুলি একাধিকবার সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, রাজ্য সরকার করোনা আক্রান্তকারীর সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের একটি সরকারি হাসপাতাল থেকেও একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে স্পষ্ট জানানো হয়, কেউ যদি করোনাভাইরাসে মারা যান, তাহলেও মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা যাবে না রোগের নাম। এই বিজ্ঞপ্তি দেখে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এহেন মহামারীর সময় এই ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্ত:মন্ত্রক দলের সদস্যরা।