কলকাতা, ২৬ অগাস্ট: ভুয়ো টিকাকাণ্ডে দেবাঞ্জন দেব-সহ ৮ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। অভিযুক্তদর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, প্রতারণা, বিপর্যয় মোকাবিলার আইন-সহ ১৪টি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। চার্জশিট জমা পড়েছে আলিপুর আদালতে। চার্জশিটে সিট জানিয়েছে, তদন্তে নেমে ১৩১ জনের বয়ান নেওয়া হয়েছে।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন কসবার একটি শিবিরে জাল টিকার দেওয়ার ঘটনা সামনে আসে তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর তৎপরতায়। এর পর গ্রেফতার হয়েছিলেন ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব। তদন্তে উঠে এসেছিল একের পর এক চা়ঞ্চল্যকর তথ্য। এরপর ধরা পড়ে আরও অনেকে। কসবার শিবিরে দেওয়া তরলের নমুনা পাঠানো হয়েছিল সেরাম ইনস্টিটিউট এবং রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলে। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে লালবাজারকে পরে বিপোর্ট দিয়ে জানানো হয়েছিল, ভায়ালে থাকা তরল কোভিশিল্ড নয়। ভায়ালে অ্যামিকাসিনের অস্তিত্ব মিলেছে। আরও পড়ুন: Kolkata: অভিজ্ঞতার জোরে নার্সরা হতে পারেন প্র্যাকটিশনার সিস্টার, ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এদিকে, কলকাতা-সহ দেশের অনেক শহরে ছড়িয়েছে নকল কোভিশিল্ড, সম্প্রতি কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার প্রতিষেধকের চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে কোভিশিল্ডের নামে ভুয়ো প্রতিষেধক বাজারে ছাড়া হয়েছে বলে মনে করছে হু। জুলাই ও অগাস্ট মাসে ভারত এবং আফ্রিকা থেকে ভুয়ো কোভিশিল্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর। ভুয়ো টিকা উদ্ধারের পরে সন্দেহ নিরসনে যোগাযোগ করা হয়েছিল সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে। তারা ব্যাচ নম্বর মিলিয়ে জানিয়ে দেয় যে তাদের কোনও উৎপাদন কেন্দ্রে ওই টিকা তৈরি হয়নি।