কলকাতা, ২৮ অক্টোবর: Police Succeed To Control Noise And Air Pollution-শব্দবাজির (Sound Crackers) প্রকোপ আটকাতে দীপাবলির (Deepavali)সন্ধে থেকেই তৎপর ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা (Police Officers)। শব্দদূষণ (Noise Pollution) বা ডেসিবেল মাপার যন্ত্র নিয়ে রাস্তায় টানা টহল দিচ্ছিল পুলিশবাহিনীর গাড়ি আর বাইক। শব্দবাজির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মাইকে চলছিল লাগাতার প্রচার। কোনও এলাকা থেকে শব্দবাজির আওয়াজ শোনা গেলে অথবা অভিযোগ এলেই আধিকারিকরা ছুটে যাচ্ছিলেন সেখানে। সন্ধে থেকেই সিসিটিভির মনিটরের (CCTV Monitoring) উপর চোখ পুলিশ আধিকারিকদের। রাস্তাগুলির উপর কড়া নজরদারি। শেষপর্যন্ত কালীপুজোর রাতে কলকাতা ও তার আশপাশের জেলা এবং কমিশনারেটগুলিতে শব্দদানবকে জব্দ করতে সফল (Succeed) হল পুলিশ।
পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা কলকাতায় শব্দবাজির তাণ্ডব রুখতে বেশ কিছুদিন আগেই প্রত্যেক থানার ওসি ও পুলিশকর্তাদের কড়া নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশ মেনেই এদিন সন্ধের আগেই রাস্তায় নেমে পড়েছিল পুলিশ বাহিনী। কালীপুজোর নিরাপত্তায় ছিল অতিরিক্ত পাঁচ হাজার পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ সন্ধে আটটার আগে বা রাত দশটার পর আতসবাজি পোড়ানো যাবে না। শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণ রোখা ছিল কলকাতা পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাতে সফল কলকাতা পুলিশের বাহিনী। আরও পড়ুন, দীপাবলির রোশনাইয়ে নেমে আসল অন্ধকার, কালীপুজোয় তুবড়ি ফেটে মৃত্যু হরিদেবপুর- কসবায়
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বায়ু দূষণ গতবারের থেকে অনেক কম ছিল। গতবার যেখানে দূষণের সূচক ২৫০ ছিল, এবার সেখানে সূচক ১০০ থেকে ১৫০ মধ্যে ছিল। শহরের কয়েকটি অঞ্চল থেকে বিক্ষিপ্ত শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ আসে। পুলিশের রবিবার রাত পর্যন্ত পুলিশের হাতে ৭৫২ জন ধরা পড়েছে। আবাসনগুলির উপর ছিল পুলিশের কড়া নজর। আবাসনে শব্দবাজি রুখতে বেশ কয়েকটি বহুতলের ছাদকেই ওয়াচ টাওয়ার বানায় পুলিশ।