শুনশান শহর কলকাতা (Picture Credits: ANI)

কলকাতা, ২২ মার্চ: ব্যস্ত কলকাতা (Kolkata) আজ শুনশান। করোনার মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ১৪ ঘণ্টা 'জনতা কার্ফু'-তে (Janata Curfew) সাড়া দিয়ে সকাল থেকে গৃহবন্দী রাজ্যবাসী। প্রতিটি জেলার চেহারাও একই। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, শ্যামবাজার, ময়দান, শিয়ালদা, উল্টোডাঙা, ধর্মতলা  প্রতিটি জায়গা জনশূণ্য। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউই রাস্তায় বের হয়নি। দুর্গাপুর, আসানসোলে বন্ধ দূরপাল্লার বাস চলাচল। বীরভূম, কোচবিহারেও একই চেহারা। চলছে না দূরপাল্লার ট্রেন।

মোট ১২৪ টির বদলে ৫৪ টি মেট্রো চলবে সারাদিনে। আগামীকাল নবান্নে রাজ্যসরকারের করোনা মোকাবিলায় সর্বদল বৈঠক হবে। কলকাতায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সল্টলেক আমরি হাসপাতালে ভর্তি, তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। ১৩ মার্চ থেকে তাঁর জ্বর-সর্দি-কাশি হয়। এর পর ১৬ তারিখে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ১৯ তারিখ থেকে তাঁর করোনাভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ পায়। এরপর তাঁকে ভেন্টিলেটর এবং একমো সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। নাইসেড এবং এসএসকেএম হাসপাতালে লালারসের নমুনা পাঠানো হয়। রিপোর্ট আসার পর জানা যায়, ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

আরও পড়ুন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশজুড়ে চলছে 'জনতা কার্ফু', ঘরবন্দী গোটা দেশ

রবিবার প্রস্তাবিত "জনতা কার্ফু"-র(Janata Curfew) কয়েক মুহুর্ত আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) টুইট করেছিলেন, কয়েক কোটি ভারতীয়ের জন্য দিনব্যাপী লকডাউন (Lockdown) থাকার কথা, যা করোনাভাইরাস বা কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রচণ্ড শক্তি যোগ করবে। প্রধানমন্ত্রী আজ টুইটে জানান,"এখন থেকে কয়েক মিনিটের মধ্যে, জনতা কার্ফু শুরু হয়েছে। আসুন আমরা সকলেই এই কার্ফুর অংশ হই, যা করোনার বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রচণ্ড শক্তি যোগাবে। আমরা এখন যে পদক্ষেপ নিয়েছি তা আগত সময়ে সহায়তা করবে"। করোনার সংখ্যা কমাতে লকডাউন গুরুত্বপূর্ণ। তাই তা পালন করছে দেশবাসী।