কলকাতা, ১ সেপ্টেম্বর: ভাদ্রের শুরু থেকেই আষাঢ় শ্রাবণের বকেয়া পাওনা মেটাতে বৃষ্টিমুখর (West Bengal Monsoon) রাজ্য। জোড়া নিম্নচাপ কাটিয়ে সবে নিজস্ব ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল ভাদ্রমাস। ঘেমো গরমে হাঁসফাঁস করতে করতে ফের বৃষ্টির আশায় বিভোর ছিল বঙ্গবাসী। সোমবার রাতেও যখন গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত রাতভোর হওয়ার আগেই নামল বৃষ্টি। মৌসুমী অক্ষরেখার সক্রিয় প্রভাবে শহর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে মঙ্গলবার ভোররাত থেকেই শুরু হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। আজ সারাদিন দক্ষিণবঙ্গের আকাশজুড়ে থাকবে মেঘের ঘনঘটা। কোথাও কোতাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় সেখানকার কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
তবে মঙ্গলবার শুধু নয়, বুধবারেও উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। এককথায় আগমী ২৪ ঘম্টায় রাজ্যের সর্বত্র বৃষ্টি হবে। এদিকে তীব্র আদ্রতাজনিত অস্বস্তি কাটিয়ে স্বস্তির বৃষ্টিতে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। এদিন ভোর থেকে কলাকাত বা লাগোয়া দুই ২৪ পরনগার পাশাপাশি পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং মুর্শিদাবাদে দু-এক পশলা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে মূলত পশ্চিমের জেলাগুলিতে। বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে। নিম্নচাপ আরও সরে এখন পশ্চিম রাজস্থান ও পাকিস্তানের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। এটি আরও উত্তরে সরে শক্তি হারিয়ে ফেলবে। মৌসুমি অক্ষরেখার পশ্চিমাংশ এই নিম্নচাপ এলাকা থেকে মথুরা হয়ে হিমালয়ের পাদদেশ এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি অক্ষরেখার পূর্বাংশ উত্তরবঙ্গ থেকে মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর প্রভাবে উত্তর পশ্চিম ভারত ও দক্ষিণের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: ১ দিনে সংক্রামিত ৬৯ হাজার ৯২১ জন, ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ লাখ ছুঁই ছুঁই
মৌসম ভবনের তথ্য বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়া বইবে উত্তর রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, আগামী ২ দিন জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে।