আইসিসি সীমিত ওভারের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ওভারের মাঝে স্টপ-ক্লক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। আগামী পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ থেকে এই নিয়ম চালু হবে, ২০২৬ সংস্করণের জন্য যোগ্যতার ক্ষেত্রেও এই নিয়ম থাকার বিষয়টি স্পষ্ট করেছে আইসিসি। শুক্রবার (১৫ মার্চ) আইসিসির বার্ষিক বোর্ড সভা শেষে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০২৪ সালের জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (ICC Men's T20 World Cup 2024) থেকে শুরু করে সমস্ত ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে স্টপ-ক্লক নিয়মটি স্থায়ী হতে চলেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, আইসিসি পুরুষদের সীমিত ওভারের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলিতে পরীক্ষামূলকভাবে স্টপ ক্লক চালু করা হয়। ট্রায়ালটি ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত চলার কথা ছিল, কিন্তু তার আগেই এই নিয়ম চালু করা হয়েছে যাতে সময়মতো ম্যাচ শেষ করা যায়। ICC T20 World Cup 2024: টি-২০ বিশ্বকাপের নক আউটে রিজার্ভ ডে থাকছে, ঘোষণা আইসিসি-র
ICC to mandate use of stop-clocks in between overs in white-ball cricket ⌛
Details ➡ https://t.co/Tj1symcw1k pic.twitter.com/kOfb3VLtKm
— ICC (@ICC) March 15, 2024
প্রধান নির্বাহীদের কমিটিতে (সিইসি) উপস্থাপিত ফলাফলে দেখা গেছে যে প্রতিটি ওয়ানডে ম্যাচে প্রায় ২০ মিনিট সময় বাঁচানো হয়েছে। ২০২৪ সালের ১ জুন থেকে সকল পূর্ণ সদস্য ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাধ্যতামূলক ভাবে এই নিয়ম যোগ করা হয়েছে। পুরুষদের সাদা বলের ক্রিকেটে স্টপ ক্লকের নিয়ম অনুযায়ী, আগের ওভার শেষ হওয়ার ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে নতুন ওভার শুরু করবে ফিল্ডিং দল। তৃতীয় আম্পায়ারের উপর ঘড়ির দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং একটি বৈদ্যুতিন ঘড়ি ৬০ থেকে শূন্য পর্যন্ত গণনা করবে যেটি মাঠে দেখানো হবে। আগের ওভার শেষ হওয়ার নির্ধারিত ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে নিজেদের পরের ওভারের প্রথম বলটি বোলিং করতে ফিল্ডিং দল ব্যর্থ হলে দুটি সতর্কবার্তা দেওয়া হবে, পরবর্তী লঙ্ঘনের ফলে প্রতি ঘটনায় পাঁচ রান পেনাল্টি হবে।
এই নিয়মের কয়েকটি ব্যতিক্রম রয়েছেঃ
- যখন উইকেট পড়লে কোনও নতুন ব্যাটার আসবে
- যখন পানীয় বিরতি চলবে
- আম্পায়াররা কোনও ব্যাটার বা ফিল্ডারের চোটের অনফিল্ড চিকিৎসার অনুমতি দেবে
- ফিল্ডিং পক্ষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যে কোনও পরিস্থিতিতে যদি সময় নষ্ট হয়