Frank Duckworth (Photo Credit: @RoyalStatSoc/ X)

বৃষ্টিবিঘ্নিত ক্রিকেট ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে ডাকওয়ার্থ-লুইস (Duckworth-Lewis Method) পদ্ধতির অন্যতম উদ্ভাবক ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ (Frank Duckworth) শুক্রবার (২১ জুন) ৮৪ বছর বয়সে মারা গেছেন। ইংরেজ পরিসংখ্যানবিদ ডাকওয়ার্থ এবং টনি লুইসের উদ্ভাবিত এই পদ্ধতিটি ১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ব্যবহৃত হয়, ডিএল পদ্ধতিটি বৃষ্টির কারণে খেলার ইনিংসের জন্য ব্যবহার করা হত, তবে এই নিয়মে অনেক ভ্রান্তি ছিল যার মধ্যে সবচেয়ে কুখ্যাত ছিল ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল যেটি ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে সিডনিতে আয়োজিত হয়। সেদিন বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে গেলে সিডনিতে ইংল্যান্ডকে হারাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ১৩ বলে ২২ রান দরকার ছিল। গ্রায়েম হিক ৮৩ ও ডারমট রিভের ১৪ বলে ২৫ রানের সুবাদে ৬ উইকেটে ২৫২ রান করে ইংল্যান্ড। বৃষ্টি আসার পর সেই সমীকরণ দাঁড়ায় যে মাত্র ১ বলে ২১ রান করতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফলে তারা ম্যাচটি হেরে যায়। এরপর শেষ চারে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড এবং তৃতীয় ফাইনালে হেরে যায়। Inzamam Ul Haq Alleges Ball-tampering: অজিদের বিপক্ষে ম্যাচে বলে কারিকুরি করেছে ভারত, আরোপ পাক ক্রিকেটার ইনজামাম-উল-হকের

এরপর কিছুটা নিয়ম পাল্টে ২০০১ সালে খেলায় সংশোধিত লক্ষ্য নির্ধারণের মানদণ্ড হিসাবে আইসিসি কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। ২০১৪ সালে ডাকওয়ার্থ ও লুইসের অবসর গ্রহণের পর এবং অস্ট্রেলীয় পরিসংখ্যানবিদ স্টিভেন স্টার্ন কর্তৃক সিস্টেমে পরিবর্তন আনার পর এর নামকরণ করা হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতি (DLS Method)। ডাকওয়ার্থ ও লুইস দুজনকেই ২০১০ সালের জুনে ব্রিটিশ রাজত্বের উপাধি MBE-তে ভূষিত করা হয়। ডাকওয়ার্থ ২০১৪ সাল পর্যন্ত আইসিসির পরামর্শক পরিসংখ্যানবিদ ছিলেন।

আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার (ক্রিকেট অপারেশন্স) ওয়াসিম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, 'ফ্রাঙ্ক একজন শীর্ষ পরিসংখ্যানবিদ ছিলেন যিনি সতীর্থদের পাশাপাশি ক্রিকেটও বেশ সম্মানিত ছিলেন। তিনি যে ডিএলএস পদ্ধতিটি তৈরি করেছিলেন তা সময়ের পরীক্ষায় দাঁড়িয়েছে এবং আমরা এটি শুরু হওয়ার দুই দশকেরও বেশি সময় পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি ব্যবহার করে চলেছি। খেলায় ফ্রাঙ্কের অবদান অপরিসীম এবং তার মৃত্যুতে ক্রিকেট বিশ্ব আরও দরিদ্র হয়েছে। আমরা তার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।'